দুদকের হস্তক্ষেপ কামনা
নিজস্ব প্রতিবেদক,২৫ জুন : সারা দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক উপস্থিতি শতভাগ নিশ্চিত করতে বায়োমেট্রিক হাজিরা সিস্টেম চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই বায়োমেট্রিক মেশিন কেনা এবং এর ব্যবহারের জন্য প্রতিটি স্কুলে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, স্কুলের স্লিপ ফান্ডের অর্থ দিয়ে স্কুল পরিচালনা কমিটি মেশিন কিনবে।
মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চতুর্থ শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় স্লিপ ফান্ডের অর্থ দিয়ে বায়োমেট্রিক হাজিরার ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের বায়োমেট্রিক হাজিরা নিশ্চিতের জন্য ডিভাইস ক্রয়ের বিধান রাখা হয়েছে। আর্থিক বিধান অনুসরণ পূর্বক স্লিপ ফান্ডের অর্থ দিয়ে বিদ্যালয়ের বায়োমেট্রিক হাজিরা নিশ্চিতকরণসহ ওই খাতের অর্থে যথাযথভাবে কার্যক্রম বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হলো।
এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে চট্রগ্রামের উপজেলা শিক্ষা অফিস রমরমা ব্যবসা শুরু করেছে। চট্রগ্রামের বেশির ভাগ প্রধান শিক্ষককে জোর করে ১০০০০-১২০০০ টাকা মূল্যের মেশিন ও সফওয়ার ৩৭০০০ টাকা করে নেয়া হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক নেতা শিক্ষা বার্তাকে জানান ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকার সর্বমোট খরচের মেশিন কেন ৩৭ হাজার নিচ্ছে তা বোধগম্য নয়।
আরেক শিক্ষক নেতা বলেন আমরা উপজলো শিক্ষা অফিসের কাছে জিম্মি। আমাদের কিছু করার নেই। কার কাছে অভিযোগ দেব তাও জানিনা। তিনি দুদককে এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।