পিইসির প্রশ্নে ভুলের অভিযোগে বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তার খোঁজ মিলেছে

নিউজ ডেস্ক,ঢাকা: প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ইংরেজি ভার্সনের একটি বিষয়ের প্রশ্নে ভুলের ঘটনায় যে কর্মকর্তাকে দায়ী করে বরখাস্ত করেছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, তার সন্ধান মিলেছে ভিন্ন জেলায়।

বরখাস্তের আগের আদেশ সংশোধন করে শনিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, প্রশ্নে ভুলের জন্য দায়ী মো. আব্দুল মান্নান মিয়া গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের সাবেক ইন্সট্রাক্টর। বর্তমানে তিনি প্রেষণে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টরের দায়িত্বে আছেন।

চলমান প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর সিলেট অঞ্চলের ইংরেজি ভার্সনের বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচিতি বিষয়ের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে অন্তত অর্ধশত ভুল ধরা পড়ে। ব্যাপক ক্ষোভ ও সমালোচনার মুখে তড়িঘড়ি আব্দুল মান্নানকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ বৃহস্পতিবার দিয়েছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ওই আদেশে মান্নানকে গাইবান্ধার সাদুল্লাহপুরের সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে দেখানো হয়েছিল।

কিন্তু তখন খোঁজ নিয়ে গাইবান্ধায় মান্নান নামে কোনো শিক্ষা কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি, যা নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়।

ওই কর্মকর্তা সম্পর্কে প্রকৃত তথ্য জানতে বৃহস্পতিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির (নেপ) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কেউ এনিয়ে কথা বলেননি।

এরপর বৃহস্পতিবার বিকালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার হঠাৎ করেই নেপে যান। তার দুদিন বাদেই বরখাস্তের আদেশ সংশোধন হল।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছিলেন, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ) প্রাথমিক সমাপনীর প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে। সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচিতি বিষয়ের ইংরেজি ভার্সনের প্রশ্নটি বাংলা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদের দায়িত্বে ছিলেন বলে নেপ থেকে মন্ত্রণালয়কে জানানো হলে তাকে বরখাস্ত করা হয়।

প্রাথমিক সমাপনীর এক প্রশ্নপত্রে অর্ধ শতাধিক ভুল!
চলমান প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর (পিইসি) ‘বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচিতি’ পরীক্ষার এক প্রশ্নপত্রে অর্ধ শতাধিক ভুল ধরা পড়েছে।মঙ্গলবার সিলেট বোর্ডের ইংরেজি ভার্সনের প্রশ্নপত্রের এই ভুলগুলো এক পরীক্ষার্থীর অভিভাবক ফেইসবুকে দিলে তা ভাইরাল হয়ে যায়।

প্রশ্নপত্রটির ৫০টি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের মধ্যে ৪০টিতেই ভাষা ও ব্যাকরণগত ভুল রয়েছে। এগুলোসহ পুরো প্রশ্নপত্রে ভুলের সংখ্যা অর্ধ শতাধিক। পিইসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ব্যাপক ভুল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবক ও শিক্ষকরা। সমালোচনা চলছে ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।