গ্রামে ডিজিটাল শিক্ষা দিয়ে ফোর্বসের তালিকায় বাংলাদেশের নাজবিন

ডেস্ক: ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় গড়ে তোলা বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়ানির্ভর ক্লাসরুম শিক্ষার পাশাপাশি শিশুদের ল্যাপটপ, ট্যাবের মতো ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষা দেওয়ায় মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের করা এশিয়ার শীর্ষ ৩০ তরুণ সামাজিক উদ্যোক্তার তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের সওগাত নাজবিন খান।

নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে কাজ করা ২৭ বছর বয়সী নাজবিন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘের ১৭ তরুণ নেতার একজন। এর আগে ২০১৬ সালে কমনওয়েলথ ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড ফর এশিয়া এবং ২০১৫ সালে গ্রিন ট্যালেন্ট অ্যাওয়ার্ড উঠেছে তার হাতে।

এ বছর ফোর্বসের করা ‘দ্য থার্টি আন্ডার থার্টি এশিয়া: সোশ্যাল এন্ট্রেপ্রেনার্স’ শিরোনামের এই তালিকায় রয়েছেন এ এইচ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা নাজবিন।

বাংলাদেশের ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি থেকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকের পর নাজবিন স্নাতকোত্তর করেন ভারতের ইউনেস্কো মদনজিৎ ইনস্টিটিউট ফর গ্রিন এনার্জি টেকনোলজিতে। সেখানে সৌর শক্তি ও বাতাসকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন নিয়ে কাজ করেন তিনি, যার প্রয়োগ ঘটিয়েছেন দেশে ফিরে শিল্প খাতে।
কৃষকদের জন্য স্বল্প খরচের সৌর সেচ ব্যবস্থা গড়ে তোলায় জার্মানির ফেডারেল মিনিস্ট্রি অব এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ ২০১৫ সালে তাকে গ্রিন ট্যালেন্ট অ্যাওয়ার্ড দেয়।
স্নাতকোত্তর শেষে ২০১৪ সালে ভারত থেকে ফিরে তিনি তারাকান্দায় পৈত্রিক সম্পত্তিতে গড়ে তোলেন এইচএ ডিজিটাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। ছয় মাস শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ২০১৫ সালে তার এই স্কুলে পাঠদান শুরু হয়।

স্বল্প খরচে আধুনিক মানসম্পন্ন শিক্ষাদানের কারণে অল্প দিনের মধ্যেই আশপাশের মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে স্কুলটি। ন্যূনতম টিউশন ফি নিয়ে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পাঠ্যবই, স্কুল ইউনিফর্ম ও যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়।

ফোর্বস বলছে, দরিদ্র গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষাদানের জন্য নাজবিনের গড়ে তোলা এই বিদ্যালয় থেকে এ পর্যন্ত ছয়শ’র মতো শিক্ষার্থী সুবিধাপ্রাপ্ত হয়েছে।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।