উচ্চ মাধ্যমিক কলেজে উপাধ্যক্ষ পদের প্রস্তাব

শফিকুল ইসলাম | : উচ্চ মাধ্যমিক কলেজে (১১শ-১২শ) এতোদিন শুধু অধ্যক্ষ পদ ছিল। এমপিওর খসড়া নীতিমালায় উচ্চ মাধ্যমিক কলেজের (১১শ-১২শ) নতুন করে উপাধ্যক্ষের একটি পদ সৃষ্টিসহ বিদ্যমান ১৫টি পদ থেকে  ৫টি পদ বৃদ্ধিসহ মোট ২০ জন জনবলের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

প্রস্তাবিত নীতিমালায় একাদশ শ্রেনিতে মানবিক,বিজ্ঞান,ব্যবসায় শিক্ষা ইত্যাদি বিভাগ খোলার জন্য প্রতি বিভাগে ন্যূনতম ২৫ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে সাধারণত প্রতি বিভাগে চারটি বিষয় থাকবে। তবে ৫ম বা ততোধিক ঐচ্ছিক বিষয় খুলতে হলে ওই বিষয়ে কমপক্ষে ২৫ জন শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগে ন্যূনতম শিক্ষার্থী সংখ্যা ১০০ জন থাকতে হবে।

প্রভাষক/সহকারী অধ্যাপক (বাংলা) ১ জন,প্রভাষক/সহকারী অধ্যাপক (ইংরেজি) ১ জন ,প্রভাষক/সহকারী অধ্যাপক (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) ১ জন,প্রভাষক/সহকারী অধ্যাপক(ঐচ্ছিক প্রতি বিষয়ে) ১ জন, শরীরচর্চা শিক্ষক ১জন, প্রদর্শক (পদার্থ,রসায়ন,তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ও উদ্ভিদবিজ্ঞান/প্রাণিবিজ্ঞান বিষয়ে ল্যাব চালু থাকলে প্রতি বিষয়ে) ১ জন, সহকারী গ্রন্থাগারিক/ক্যাটালগার ১ জন, অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী ১ জন, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ২জন, গবেষণগার/ল্যাব সহকারী (পদার্থ, রসায়ন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ও উদ্ভিদবিজ্ঞান/প্রাণিবিজ্ঞান বিষয়ে ল্যাব চালু থাকলে প্রতি বিষয়ে) ১ জন। তবে এখানে ১টি পদ প্রস্তাব করা হয়েছে। মালি ও পরিচ্ছন্ন কর্মি পদে বিদ্যমান ১টি পদের জায়গায় আরও একটি করে ২টি পদ প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া সহশিক্ষা চালু থাকলে মহিলা কলেজের জন্য ১ জন আয়া রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।

উচ্চ মাধ্যমিক (১১শ-১২শ) স্তরে গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের জনবল কাঠামোর বিষয়ে বলা হয়েছে, গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিভাগ চালু থাকলে প্রভাষক / সহকারী অধ্যাপক (গার্হস্থ্য অর্থনীতি  বিভাগে স্বীকৃতি প্রাপ্ত বিষয়ের জন্য) ১ জন এবং (গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের ল্যাবের জন্য) প্রদর্শক  থাকবে ১ জন।

উচ্চ মাধ্যমিক (১১শ-১২শ) স্তরে  সংগীত বিভাগের জনবলের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে প্রভাষক / সহকারী অধ্যাপক ( স্বীকৃতি প্রাপ্ত ঐচ্ছিক বিষয়ের জন্য) ১জন, প্রদর্শক (তবলচি) ১ জন এবং অফিস সহায়ক ১ জন। প্রতিষ্ঠানটি উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে এমপিওভুক্ত হলে লঘু সংগীত বিষয়ে ১জন ও উচ্চাংগ সংগীত বিষয়ে ১ জন প্রভাষক/ সহকারী অধ্যাপক প্রাপ্য হবে।

নীতিমালা অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হবে ১০০ নম্বরের মধ্যে দেয়া গ্রেডিংয়ের ভিত্তিতে। একাডেমিক স্বীকৃতির বয়স, শিক্ষার্থী সংখ্যা, পরীক্ষার্থী সংখ্যা এবং উত্তীর্ণের সংখ্যা- এ চারটি বিষয়ে ২৫ নম্বর করে দেয়া হবে। নীতিমালায় অসত্য তথ্য দিয়ে বা জালিয়াতি করে এমপিওভুক্তির জন্য প্রধান প্রতিষ্ঠান ও পরিচালনা কমিটি দায়ী থাকবেন বলে উল্লেখ আছে। এ ক্ষেত্রে ‘যথোপযুক্ত আইনানুগ’ ব্যবস্থার কথা উল্লেখ থাকলেও সেটা কী তা বলা হয়নি। প্রতিষ্ঠানের প্রাপ্যতা, স্বীকৃতি/অধিভুক্তি, জনবলকাঠামোর আরোপিত শর্ত, কাম্য শিক্ষার্থী-ফলাফল, পরিচালনা কমিটি না থাকলে এমপিও দেয়া হবে না। এনটিআরসিএ’র মেধাতালিকা থেকে নিয়োগ না দিলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক এমপিও পাবেন না।

আরও পড়ুন:  দৈনিক ১ ঘন্টা কাজ করে মাসে ৫/১০ হাজার টাকা আয় করুন

নীতিমালা অনুযায়ী, এমপিওভুক্ত শিক্ষকের বার্ষিক কাজের মূল্যায়ন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হবে। নতুন প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে আঞ্চলিক সামঞ্জস্য রক্ষা করা হবে। প্রত্যেক শিক্ষকের নিজ মূল বিষয়ের বাইরে আরও ২টি বিষয়ে পাঠদানের দক্ষতা থাকতে হবে।

নীতিমালায় আরও বলা হয়, যেসব প্রতিষ্ঠানে শিফট চালু আছে, সেগুলোয় প্রতি শিফটের একেক শ্রেণীতে কমপক্ষে ১৫০ জন করে ছাত্রছাত্রী থাকতে হবে। ১৫০ জন বা এর অধিক শিক্ষার্থী থাকলেই শুধু শিফট চালু থাকবে। এ নীতিমালা জারির পর কোনো প্রতিষ্ঠানে দ্বিতীয় শিফট খোলা যাবে না। কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনুমোদিত মূল ক্যাম্পাস ছাড়া অন্য কোথাও ক্যাম্পাস বা ব্রাঞ্চ খুলতে পারবে না।

আরও পড়ুন: প্রাথমিক স্কুলে নিয়োগকৃতদেরকে কেন ১০ গ্রেডে বেতন নয়: হাইকোর্ট

—————————————————————-

কোনো প্রতিষ্ঠানে জনবল কাঠামোর অতিরিক্ত শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ করলে বেতন-ভাতা ও আনুষঙ্গিক সুবিধার শতভাগ (প্রতিষ্ঠানকে) পরিশোধ করতে হবে। ইনডেক্সধারী শিক্ষক-কর্মচারী অন্য প্রতিষ্ঠানে যোগ দিলে তার পূর্ব অভিজ্ঞতা গণনাযোগ্য হবে। তবে যোগদানের আগের বকেয়া প্রাপ্য হবেন না। ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের ক্ষেত্রে তাদের প্রথম নিয়োগকালীন শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রযোজ্য। এমপিওভুক্ত কোনো শিক্ষক বা কর্মচারী একাধিক পদে চাকরি বা আর্থিক লাভজনক পদে নিয়োজিত থাকতে পারবেন না। নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাজীবনে শুধু একটি তৃতীয় বিভাগ/সমমান গ্রহণযোগ্য হবে। এ নীতিমালা জারির পর কেউ যদি বকেয়াপ্রাপ্য হন, সে ক্ষেত্রে তা পরিশোধ করা হবে না।শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী মহিলা কোটা পূরণ করতে হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুসরণ করতে হবে।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।