নিজস্ব প্রতিবেদক
এখন ঘরে বসেই অনলাইনে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন থেকে শুরু করে ফি পরিশোধ পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়। সময় ও শ্রম বাঁচাতে বাংলাদেশ পাসপোর্ট অধিদপ্তর আবেদন প্রক্রিয়াকে পাঁচটি ধাপে বিভক্ত করেছে।
ওয়েবসাইটে (www.epassport.gov.bd
উল্লেখিত তথ্যানুসারে, নিচে দেওয়া হলো ই-পাসপোর্টের আবেদন প্রক্রিয়ার বিস্তারিত ধাপ ও ফি সংক্রান্ত তথ্য।
ধাপ–১: কার্যক্রম যাচাই করুন
প্রথমেই আবেদনকারীর উচিত তার এলাকায় ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করা। এজন্য ই-পাসপোর্টের সরকারি ওয়েবসাইটে গিয়ে জেলার নাম ও থানার ভিত্তিতে তথ্য যাচাই করা যায়।
ধাপ–২: অনলাইনে ফর্ম পূরণ করুন
ওয়েবসাইটে ‘অনলাইনে আবেদন’ অপশনে ক্লিক করে জেলা ও থানা নির্বাচন করতে হয়। এরপর বৈধ ইমেইল ও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বরসহ ব্যক্তিগত তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করতে হয়। আবেদন জমা দিলে একটি প্রিন্ট কপি তৈরি হয়, যা বায়োমেট্রিকের সময় প্রয়োজন হবে।
ধাপ–৩: ফি পরিশোধ
পাসপোর্টের ফি নির্ধারিত হয়েছে মেয়াদ (৫ বা ১০ বছর) ও পৃষ্ঠাসংখ্যা (৪৮ বা ৬৪) অনুযায়ী। অনলাইন পেমেন্ট (বিকাশ, নগদ, ব্যাংক কার্ড) বা অনুমোদিত ব্যাংকে নগদে পরিশোধ করা যায়।
দেশে ফি (টাকায়):
| মেয়াদ | পৃষ্ঠা | ধরন | ফি |
|---|---|---|---|
| ৫ বছর | ৪৮ | সাধারণ | ৪,০২৫ |
| ৫ বছর | ৪৮ | জরুরি | ৬,৩২৫ |
| ৫ বছর | ৬৪ | অতি জরুরি | ১২,৭৫০ |
| ১০ বছর | ৪৮ | সাধারণ | ৫,৭৫০ |
| ১০ বছর | ৬৪ | অতি জরুরি | ১৩,৮০০ |
ধাপ–৪: বায়োমেট্রিক ও কাগজপত্র জমা
আবেদন জমা দেওয়ার পর নির্ধারিত তারিখে পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে ছবি তোলা, আঙুলের ছাপ ও স্বাক্ষর দিতে হয়।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
১৮ বছরের বেশি:
-
জাতীয় পরিচয়পত্র, নাগরিক সনদ, কাবিননামা (যদি প্রযোজ্য), সরকারি চাকরিজীবীদের এনওসি।
১৮ বছরের কম:
-
জন্মনিবন্ধন সনদ, মা-বাবার জাতীয় পরিচয়পত্র, ৬ বছরের কমদের ছবি।
হারানো পাসপোর্ট:
-
থানার জিডি ও পুরানো পাসপোর্টের কপি।
ধাপ–৫: পাসপোর্ট সংগ্রহ
পাসপোর্ট প্রস্তুত হলে মোবাইলে এসএমএস আসে। আবেদনকারী বা অনুমোদিত প্রতিনিধি ডেলিভারি স্লিপ দেখিয়ে সংগ্রহ করতে পারেন।
বিতরণের সময়সীমা:
-
নিয়মিত: ১৫ কর্মদিবস
-
জরুরি: ৭ কর্মদিবস
-
অতি জরুরি: ২ কর্মদিবস
অগ্রগতি যাচাই
ই-পাসপোর্ট পোর্টালের “স্ট্যাটাস চেক” অপশনে জন্মতারিখ ও আবেদন নম্বর দিয়ে আবেদন অগ্রগতি দেখা যায়।
















