সরকারি অফিসের ফাঁকিবাজদের বেতন কাটা হবে

সরকারি অফিসে নির্ধারিত সময়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি নিশ্চিতে কঠোর বিধান হচ্ছে। এখন থেকে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী পর পর দু’দিন ‘লেট লতিফ’ হলে একদিনের মূল বেতন, অফিস শেষের আগে চলে গেলে একদিনের মূল বেতন, বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত থাকলে একদিনের বেতন কাটা হবে। কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী পুনরায় একই অপরাধ করলে সাত দিনের মূল বেতন কাটা হবে। এমন বিধান রেখে এবারই প্রথম সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা (নিয়মিত উপস্থিতি) আইন-২০১৪-এর খসড়া তৈরি করছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। শিগগিরই চিঠিটি অনুমোদনে মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী শিক্ষাবার্তাকে বলেন, সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তাদের কাজকর্মে আরও আন্তরিক ও দায়িত্বশীল করতে আইনটি করা হচ্ছে। আইনটি প্রণয়ন হলে একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীর অফিস ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা কমবে। কাজকর্মে অগ্রগতি হবে।

সূত্র জানায়, সরকারি অফিসের একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে উপস্থিতির বিষয়ে উদাসীনতা দেখা যায়। বিশেষ করে সরকারি বিভিন্ন হাসপাতালের ডাক্তারদের ক্ষেত্রে এ চিত্র বেশি। গ্রামাঞ্চলের হাসপাতালে ডাক্তারদের অনুপস্থিতি যেন রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। তা ছাড়া সচিবালয়সহ বিভিন্ন জেলা-উপজেলার সরকারি অফিসে একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে সঠিক সময়ে উপস্থিতির বিষয়ে অনীহা থাকে। আবার একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারী দেরিতে অফিসে এলেও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ঊর্ধ্বতন কর্তাদের ম্যানেজ করে অফিস শেষ হওয়ার আগে বাসায় চলে যান। এতে সরকারি দপ্তরের কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়ে। কর্মস্থলে অবস্থান না করা ও অফিস ফাঁকি দেওয়ার কারণে দূর-দূরান্ত থেকে কাজে আসা মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সূত্র জানায়, অফিসের উপস্থিতি নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি প্রজ্ঞাপন থাকলেও তা উপেক্ষা করা হচ্ছে।

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।