দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) সংবাদদাতা : বৈষ্ণবশাস্ত্র মতে, সরস্বতী পুজো তথা শ্রীপঞ্চমীর দিন থেকেই ঋতু বসন্তের সূচনা। মন্দিরে মন্দিরে এ দিন থেকে কীর্তনের সুরে লাগে বসন্ত রাগের ছোঁয়া।পুজোর উপকরণে থাকে আবির, কুমকুমের অনিবার্য উপস্থিতি।
বলা হয় সরস্বতী পুজো এলে বসন্তোত্সবের সূচনা, যা সমাপ্ত হয় দোল পূর্ণিমায়। কিন্তু গাঢ় কুয়াশা আর উত্তুরে হাওয়ার সৌজন্যে কনকনে ঠাণ্ডায় বাঙালির ভ্যালেন্টাইন কি আদৌ জমবে? কলেজ পড়ুয়া তমা, শিক্ষিকা সুপর্ণা, সীতা বলেন জমতেই হবে। শীত কমুক বা নাই কমুক আজ পঞ্চমী। ঘুম থেকে উঠে সাতসকালে স্নান। শীতে কাঁপতে কাঁপতে অঞ্জলি দেয়ার তাড়া। তারপর বেলা বাড়তেই উধাও ঠাণ্ডার চোখরাঙানি। এক স্কুল থেকে আর এক স্কুলে ঘুরতে ঘুরতে কপালে জমতে থাকে বিন্দু বিন্দু ঘাম। বাড়তে থাকে অনভ্যস্ত শাড়ির অস্বস্তিও। ফিবছর এভাবেই বাঙালির ভ্যালেন্টাইন ডে-তে যেন ঘাম দিয়ে শীত ছাড়ে! দামুড়হুদায় এ বছর পূজা উদযাপনের সংখ্যা ৫০টির কাছাকাছি। পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অরবিন্দ দেবনাথ মধু জানান, দামুড়হুদা স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েরা পূজা উদযাপন উপলক্ষে নিয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। তবে শীতে এ প্রস্তুতিতে দিয়েছে ভাটা। সাধারণ মানুষ অবশ্য হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন এবারের শীত-কুয়াশার যুগলবন্দি। মাঝ-মাঘের সন্ধ্যার কুয়াশা ভোরে যেন আরও জমাট বাঁধছে। তবে শীত-কুয়াশার এই ভোগান্তিতেও স্বস্তি মিলছে বাজার দরে। এ বারের সরস্বতী পুজোতে কিন্তু সদয় হয়েছেন লক্ষ্মী। খিচুড়ি, পাঁচ তরকারি, আলুর দম, চাটনি ও পায়েস— ঠাকুরের ভোগের এই পঞ্চরত্নের জোগাড় করতে গিয়ে মোটেই মুখ ভার হওয়ার কথা নয় আমবাঙালির।