অস্ট্রেলিয়া-আফগানিস্তানের ম্যাচের ফলের উপর নির্ভর করছিল অনেক কিছু। এ ম্যাচে আফগানদের হারে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার সেমিফাইনাল নিশ্চিত হতো। আবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হতো বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের।
তবে সুপার এইটের লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ২১ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপের টিকে থাকলেন আফগানরা। একই সঙ্গে বেঁচে রইল বাংলাদেশের সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন।
সেন্ট ভিনসেন্টে বাংলাদেশ সময় রোববার (২৩ জুন) সকালে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৪৮ রান করে আফগানরা। জবাবে ১২৭ রানে গুটিয়ে যায় অজিদের ইনিংস। ফলে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ২১ রানের ঐতিহাসিক জয় পায় রশিদ খানের দল।
এর আগে ভারতে হওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপেও অজিদের চাপে ফেলেছিল রশিদ-নবীরা। ২৯২ রানের টার্গেটে ৯১ রানে ৭ উইকেট হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে চোট নিয়ে ব্যাট করে ডাবল সেঞ্চুরি তুলে সাবেক চ্যাম্পিয়নদের জয় নিশ্চিত করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
এবার চোখ রাঙাছিল তার ব্যাট। তবে তেমনটা হতে দেননি আফগান অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইব। ব্যক্তিগত ৫৯ রানে ডানহাতি এই ব্যাটারকে থামিয়ে জয় তুলে নেয় আফগানিস্তান।
এ ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ অন্য অজি ব্যাটাররা। মাত্র ৫৬ রানে শেষ ৬ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ রান অধিনায়ক মিচেল মার্শের। আফগানদের পক্ষে ২০ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন গুলবাদিন নাইব। এ ছাড়া নাভেন উল হকের শিকার ৩ উইকেট।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং ১১৮ রানের জুটি গড়েন রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জার্দান। দুজনই তুলে নেন অর্ধশতক। গুরবাজ ৬০ ও ইব্রাহিম ৫১ রানে আউট হন। অজিদের পক্ষে প্যাট কামিন্স ৩ ও অ্যাডাম জাম্পার শিকার ২ উইকেট।
আফগানদের কাছে অস্ট্রেলিয়ার হারে সুপার এইটের গ্রুপ ওয়ান এখন উন্মুক্ত। চার দলেরই সুযোগ রয়েছে সেমিতে খেলার। তবে দুই জয়ে খানিকটা এগিয়ে ভারত। আর টানা দুই হারের বাংলাদেশের জন্য সেমির পথটা বেশ কঠিন।
গ্রুপ ওয়ানের শেষ দুই ম্যাচে ২৪ জুন ভারত খেলবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। আর ২৫ জুন বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। রোহিতরা অজিদের কাছে হারলে আর শান্তরা রশিদের বিপক্ষে জিতলে, সেমিতে খেলার সম্ভাবনা তৈরি হবে বাংলাদেশের। অবশ্য এর জন্য নেট রান রেট বিবেচিত হবে। আর শান্তদের নেট রান রেটের অবস্থা খুব বাজে।