গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইগ্রেশন চলবে যে প্রক্রিয়ায়

বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইগ্রেশন

গুচ্ছভুক্ত ২২টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ হাজার ২২০টি আসন ফাঁকা রয়েছে। এত বিপুল সংখ্যক আসন ফাঁকা রেখে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করতে চায় না আয়োজক কমিটি। এ কারণে নতুন করে শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে মাইগ্রেশনের ক্ষেত্রে নিয়মে পরিবর্তন আনা হয়েছে।

জানা গেছে, গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শেষ পর্যায়ের ভর্তি কার্যক্রমে কোনো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে আছেন—এমন শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের তালিকায় থাকা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে মাইগ্রেশনের সুযোগ না পেলেও নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে মাইগ্রেশনের সুযোগ পাবেন।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আহ্বায়ক এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, গুচ্ছের এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অপর বিশ্ববিদ্যালয়ে মাইগ্রেশন বন্ধ থাকবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে সাবজেক্ট মাইগ্রেশন চালু থাকবে। এছাড়া শূন্য আসনে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে সব আসন পূরণের চেষ্টা করা হবে। ইতিমধ্যে এ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ভর্তি কার্যক্রম প্রায় শেষের দিকে রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শ্রেণি পাঠদান শুরু হলেও কিছু আসন ফাঁকা থাকায় ভর্তি কার্যক্রম এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ করা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যায়ের ভর্তি কার্যক্রমে এখন অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে শূন্য আসনে মেধার ভিত্তিতে ভর্তি নিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। চূড়ান্ত পর্যায়ের এ কার্যক্রমে অপেক্ষমাণ তালিকার ভর্তিচ্ছুরা শুধুমাত্র একটি বিশ্ববিদ্যালয় চয়েস দিতে পারবেন।

এর আগে বুধবার রাতে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি কমিটির অনলাইনে অনুষ্ঠিত এক সভায় অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা ভর্তিচ্ছুদের ভর্তির সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, গুচ্ছের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের দিকে শিক্ষার্থীদের নজর রাখতে হবে। ওয়েবসাইটের সকল তথ্য অফিসিয়াল। ওয়েবসাইটে যেসব দিক নির্দেশনা দেওয়া আছে, ভর্তিচ্ছুদের সেদিকে নজর রাখতে হবে।

গত ২২ আগস্ট গুচ্ছের শেষ ধাপের ভর্তি নেওয়া হয়। ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এবার চার ধাপে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। তবে অধিক সংখ্যক আসন ফাঁকা থাকায় ফের ভর্তির দিয়েছে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটি।

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, এখন কথা দুইটা বিষয় নিয়ে। একটা হচ্ছে কিছু আসন ফাঁকা আছে। অপরটি হচ্ছে মাইগ্রেশন। যেসব আসন ফাঁকা আছে সেসব শূন্য আসনে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে মেধার ভিত্তিতে ভর্তি নেয়া হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এ কার্যক্রম শেষ হবে।

মাইগ্রেশন নিয়ে যবিপ্রবি উপাচার্য বলেন, যারা বর্তমানে ভর্তি হয়ে গেছেন তারা এ কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে নিজ বিশ্ববিদ্যালয় সাবজেক্ট মাইগ্রেশন করতে পারবেন, বিশ্ববিদ্যালয় নয়। আর শূন্য আসনে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে যেসব শিক্ষার্থী ভর্তি হবেন তারা শুধুমাত্র একটা বিশ্ববিদ্যালয় চয়েস দিতে পারবেন এবং ওই বিশ্ববিদ্যালয়েই ভর্তি হবেন।

এর আগে ২০ জুন গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ভর্তির আবেদন শুরু হয়। পরে পর্যায়ক্রমে তিনটি ইউনিটে পরীক্ষা গ্রহণ ও ফল প্রকাশ করা হয়। এ বছর ‘এ’ ইউনিটে (বিজ্ঞান) পাসের হার ৪৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ, ‘বি’ ইউনিটে (মানবিক) পাসের হার ৫৬ দশমিক ৩২ শতাংশ, ‘সি’ ইউনিটে (ব্যবসায় অনুষদ) পাসের হার ৬৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।