এমপিও নীতিমালার শর্তাবলি পুনর্বিবেচনা করে সরকারি স্বীকৃতি পাওয়া সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্তির দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।
বুধবার (১৪ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী পরিষদ’র ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
আরো পড়ুন: মঙ্গলবার এমপিও আপিল কমিটির সভায় ১৭ শিক্ষকে তলব
এ সময় শিক্ষক নেতারা জানান, নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন ধরে বেতনহীন অবস্থায় থাকায় মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া এমপিওভুক্তির নীতিমালার শর্ত পূরণ করা আরও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে নন-এমপিও কলেজের ২০২১ সালের নীতিমালার সব শর্ত পূরণ করা প্রায় অসম্ভব। তাই এমপিও নীতিমালা পুনর্বিবেচনা করা একান্ত আবশ্যক।
সংবাদ সম্মেলনে তারা এমপিও নীতিমালার শর্তাবলি শিথিল করে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিও প্রক্রিয়া প্রতিবছর চলমান রাখা, ফরম পূরণ করা সব শিক্ষার্থীকে পরীক্ষার্থী হিসেবে গণ্য করা, স্বীকৃতির নম্বর পুনর্বহাল করা, শূন্য নম্বর তুলে দেওয়া, ডিগ্রি কলেজের নীতিমালার শর্তাবলি পুনর্বিবেচনা করে আবেদনের আওতায় আনা এবং সবশেষ তিন বছরের ফলাফল বিবেচনা করা—নিয়ে মোট সাত দফা দাবি জানান।
এ সময় এসব দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আগামী রবিবার বেলা ১১টায় সব নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীকে নিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মো. দবিরুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক আবু বকর মো. এরশাদুল হক, অধ্যক্ষ ইমরান বিন সোলায়মান, ফরহাদ হোসেন বাবুল, অধ্যক্ষ মনিমুল হক, আবদুল বারী তালুকদার, শরীফুজ্জামান আগা খান।