এমএমসি অ্যাপে যান্ত্রিক ত্রুটি কারণে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের তথ্য স্কুলগুলো থেকে সংগ্রহ করে ইমেইলে পাঠাতে আঞ্চলিক উপপরিচালকদের বলেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। মাঠ পর্যায়ের শ্রেণি শিক্ষকরা এমএমসি অ্যাপের মাধ্যমে শ্রেণি কার্যক্রম মনিটরিং প্রতিবেদন নিয়মিতভাবে দাখিল করতো। কিন্তু সে অ্যাপে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে স্কুলগুলোতে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসের তথ্য সংগ্রহ করে তা সার-সংক্ষেপ আকারে ২ জুলাইয়ের মধ্যে অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশান উইংয়ের ইমেইলে পাঠাতে বলা হয়েছে।
ডিডিদের এ নির্দেশনা দিয়ে পাঠানো চিঠি গত রোববার প্রকাশ করেছে অধিদপ্তর।
মনিটরিং ও ইভ্যালুয়েশন উইংয়ের পরিচালক অধ্যাপক মো. আমির হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশান উইং মাঠ পর্যায়ের শ্রেণি শিক্ষকদের এমএমসি অ্যাপের মাধ্যমে আপলোড করা ক্লাসের ভিত্তিতে মাল্টিমিডিয়া শ্রেণি কার্যক্রমের মনিটরিং প্রতিবেদন নিয়মিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করে থাকে।
কিন্তু এমএমসি অ্যাপে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মাঠ পর্যায়ের কোনো শ্রেণি শিক্ষক তাদের গৃহীত এমএমসি ক্লাসগুলো আপলোড দিতে পারছেন না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এপিএর অন্যতম সূচক হলো মাঠ পর্যায় থেকে পাওয়া এমএমসি ক্লাস যা প্রতিবেদন আকারে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে অধিদপ্তর থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
ওই চিঠিতে সব আঞ্চলিক উপপরিচালককে (মাধ্যমিক) তাদের নিজ নিজ অঞ্চলের সংশ্লিষ্ট উপজেলা-থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সব মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও উচ্চ মাধ্যমিক কলেজের ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নেয়া এমএমসি ক্লাসের তথ্য সংগ্রহ করে তা সার-সংক্ষেপ আকারে সংযুক্ত ছক মোতাবেক আগামী ২ জুলাইয়ের মধ্যে ইমেইলে ([email protected]) পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে।
চিঠিতে আরো বলা হয়, আঞ্চলিক উপপরিচালক (মাধ্যমিক) ছাড়া মাঠ পর্যায়ের অন্য কোনো শিক্ষা কর্মকর্তা বা কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশান উইং বরাবরে ই-মেইলে আলাদাভাবে পাঠানোর প্রয়োজন নেই।