পাবনা প্রতিনিধি : ০৩ এপ্রিল ২০২২
পাবনার ঈশ্বরদীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষককে কর্মরত অবস্থায় চড়-থাপ্পড় মারার অভিযোগ উঠেছে এক অভিভাবকের বিরুদ্ধে।
আরো খবরঃ বাড়তে পারে স্কুল-কলেজের ছুটি
শনিবার ঈশ্বরদী পৌর সদরের মশুরিয়াপাড়ার গোলাম হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুন্নাহার জানান, বিদ্যালয়ে যথারীতি ক্লাস চলছিল। সহকারী শিক্ষক হামিদুর রহমান দ্বিতীয় শ্রেণিতে পাঠদান করছিলেন। এ সময় মাসুম হোসেন নামে এক অভিভাবক বিদ্যালয়ে আসেন। তার সন্তান প্রথম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে।
ওই অভিভাবক উত্তেজিত হয়ে পাঠদান চলারত অবস্থায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে ঢুকে পড়েন। ক্লাসে পাঠদানরত শিক্ষক হামিদুর রহমানকে শার্টের কলার ধরে টানতে টানতে তিনি বারান্দায় নিয়ে আসেন। তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন ও চড়-থাপ্পড় মারেন। ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে পড়েন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। প্রধান শিক্ষক শামসুন্নাহার জানান, বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তিনি বিষয়টি সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার গোলাম মোস্তফাকে জানান। সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।
শিক্ষক হামিদুর রহমান বলেন, তিনি কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না। তিনি ক্লাস নিচ্ছিলেন ২য় শ্রেণিতে। আর প্রথম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রের বাবা তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করলেন। মাসুম হোসেন নামের ওই অভিভাবকের ছেলেকে তিনি মারধরও করেননি। তিনি এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার দাবি করেন।
সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার গোলাম মোস্তফা জানান, বিষয়টি ঈশ্বরদী থানা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিএম ইমরুল কায়েসকে জানান হয়েছে। অভিযুক্ত অভিভাবক মাসুম হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও করে তাকে পাওয়া যায়নি।
পাবনার প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক নেতা ইকরামুল কবীর মামুন জানান, একজন শিক্ষককে স্কুলে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা দুঃখজনক। তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকলে অভিভাবক প্রধান শিক্ষক অথবা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানাতে পারতেন। তিনি এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।
রোববার সকালে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দেয়া হয়েছে। শিক্ষক হামিদুর রহমান একটি এজাহার জমা দিয়েছেন। অন্যদিকে অভিযুক্ত অভিভাবকের স্ত্রী তার শিশুকে ক্লাসে মারধর করা হয়েছিল বলে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে ওসি জানান।