নিজস্ব প্রতিবেদক : ১১ মে : বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণ মামলার আসামি প্রধান আসামি সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফকে সিলেট থেকে ঢাকায় আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের আইজি এ কে এম শহীদুল হক। বৃহস্পতিবার রাতে সিলেট থেকে এই দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সিলেট জেলা পুলিশ ও সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ ও পুলিশ সদর দপ্তরের সমন্বয়ে গঠিত একাধিক দল যৌথ অভিযান চালিয়ে সাফাত ও সাদমান সাকিবকে গ্রেপ্তার করে।
সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার গোলাম কিবরিয়া বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায সিলেট শহরের একটি বাড়ি থেকে সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাতেই তাদের ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে। রাত ১২ টা থেকে ১ টার মধ্যেই তাদের ঢাকায় হাজির করা হতে পারে।
গত ২৮ মার্চ সন্ধ্যার পর আসামি সাফাতের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে দাওয়াত দিয়ে নেয়া হয় ওই দুই ছাত্রীকে। এরপর রাত ৯টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত তাদের আটকে রাখে। অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে একটি কক্ষে নিয়ে সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ একাধিকবার তাদের ধর্ষণ করেন। ধর্ষণ করার সময় আসামি সাফাত গাড়িচালক বিল্লালকে দিয়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করেন। পরে বাসায় দেহরক্ষী পাঠিয়ে তাদের ভয়ভীতি দেখান।
ধর্ষণের অভিযোগে গত ৬ মে বনানী থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই দুই ছাত্রী। মামলার আসামিরা হলেন আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদ, তার বন্ধু নাঈম আশরাফ, দুই ছাত্রীর বন্ধু সাদমান সাকিব, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী সাকিফ।
মামলার প্রধান আসামি সাফাতকে ধরতে পুলিশ তাদের গুলশানের বাসায় দুই দফা অভিযান চালায়। কিন্তু তাকে সেখানে পাওয়া যায়নি।
মামলার পর ওই শিক্ষার্থীদের পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে নেয়া হয় এবং বৃহস্পতিবার তাদের সেখান থেকে আদালতে হাজির করা হয়। ধর্ষণের শিকার ওই দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী আদালতে আজ জবানবন্দি দিয়েছেন।