কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মুক্তাগাছার ‘আরকে মডেল উচ্চ বিদ্যালয়’ ও ‘পদুরবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়’ থেকে অংশ নিয়েছে এই ১৪৩ জন।গত বৃহস্পতিবার দেশের সব শিক্ষাবোর্ড একযোগে এসএসসির ফলাফল প্রকাশ করেছে। কিন্তু তিন দিনেও এ ১৪৩ জন পরীক্ষার্থী তাদের ফলাফল পায়নি। এতে ওইসব শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মাঝে হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।[insedi-ad]
কেন্দ্র সচিব ও এনএন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশুতোষ সরকার জানান, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবছর মুক্তাগাছার আরকে মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৮৩ জন ও পদুরবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৬০ জন মিলে মোট ১৪৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়।“ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর যোগ না হওয়ায় এমন ঘটনা ঘটেছে।”
তিনি বলেন, দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীদের ব্যবহারিকের নম্বরপত্রের হার্ড কপি তার মাধ্যমে বোর্ডে জমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠান অথবা বোর্ডের ভুলের কারণে এমনটি হতে পারে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শিক্ষকরা তাদের জানিয়েছেন বোর্ডের ভুলের কারণে এমনটি হয়েছে। তবে দুয়েকদিনের মধ্যে এটা ঠিক করে ফল প্রকাশ করা হবে।
তারা দ্রুত এর সমাধানের দাবি জানান।এ ব্যাপারে আরকে মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, কারিগরি বিভাগের পরীক্ষার্থীদের ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের নম্বর যথাসময়ে অনলাইনের মাধ্যমে বোর্ডে পাঠানো হয়েছে। সেই সাথে নম্বরপত্রের হার্ড কপিও কেন্দ্র সচিবের মাধ্যমে বোর্ডে পৌঁছানো হয়েছে।
“কী কারণে ফলাফল শিটে ব্যবহারিকের নম্বর যুক্ত হয়নি তা বোর্ডে না গিয়ে বলা যাবে না।”পদুরবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, পরীক্ষার্থীদের বাস্তব প্রশিক্ষণের নম্বর যথাযথ নিয়মে বোর্ডে অনলাইনে পাঠানো হয়েছে। বোর্ডের কারিগরি সমস্যার কারণে ফলাফল শিটে এ ধরণের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
“এ ব্যাপারে বোর্ডের সাথে কথা হলে তারা পরীক্ষার্থীদের নম্বরপত্রের হার্ড কপি নিয়ে আগামী রোববার বোর্ডে যেতে বলেছেন।”তবে এতে কোনো পরীক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলে বোর্ড কর্তৃপক্ষ তাকে আশ্বস্ত করেছে বলে জানান মিজানুর রহমান।