সম্প্রতি ৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে ১২ হাজার ৭৮৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। এই সংখ্যা বিগত কয়েকটি বিসিএসের মধ্যে সর্বনিম্ন। চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন, ৪৫তম বিসিএসের প্রশ্ন তুলনামূলক সহজ হয়েছে। ফলে এই বিসিএসের কাট মার্কস ১৩০ নম্বরের কাছাকাছি।
জানা গেছে, একজন প্রার্থী পাশ করবেন না ফেল করবেন তা নির্ধারিত হয় কাট মার্কসের মাধ্যমে। ৪৫তম বিসিএসের কাট মার্কস যদি ১১৮ ধরা হয় তাহলে এর কম নম্বর পাওয়া সকল প্রার্থীকেই ফেল হিসেবে গণ্য করা হবে। আর যারা ১১৮ বা এর চেয়ে বেশি পাবেন তাদের পাশ বলে ধরা হবে।
আরো পড়ুন: ১৩টি বিসিএসে ৪১ হাজার ৫৬৬ জনকে নিয়োগের সুপারিশ
সরকারি কর্ম কমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছে, বিসিএসের কাট মার্কস নির্ধারিত হয় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা, ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদের সংখ্যা, প্রার্থীরা প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় কেমন করেছেন এসব বিষয় দেখে। এছাড়া দ্রুত সময়ের মধ্যে বিসিএস শেষ করার তাগাদা থেকেও কাট মার্কস নির্ধারণ করা হয়। ফলে প্রতিটি বিসিএসের কাট মার্কসই ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।
পিএসসি’র পরীক্ষা শাখার একটি সূত্র জানিয়েছে, বিসিএসের কাট মার্কস প্রকাশ করতে চায় না সংস্থাটি। এর অন্যতম কারণ হলো— কাট মার্কসের ভিন্নতা। প্রতিটি বিসিএসের কাট মার্কসই আলাদা। একটি বিসিএসের কাট মার্কস প্রকাশ করলে পরবর্তী বিসিএসের প্রার্থীরা সেটিকেই কাট মার্কস হিসেবে ধরবেন। এর ফলে ব্যাপক জটিলতা তৈরি হতে পারে।
চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন, বিসিএসের মতো পরীক্ষায় কাট মার্কস অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য কাট মার্কস নির্দিষ্ট করা উচিত। এতে একজন প্রার্থী বুঝতে পারবেন কত নম্বর পেলে তিনি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারবেন। এছাড়া কোনো বিসিএসের প্রিলিতে ১২৫ নম্বর পেয়েও কেউ পাশ করে না। আবার অন্য বিসিএসে ১১০ নম্বর পেয়েও লিখিত পরীক্ষার জন্য উত্তীর্ণ হন। এটি এক ধরনের বৈষম্য তৈরি হয়। তাই এটি নির্দিষ্ট করা জরুরি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন বলেন, প্রতিটি বিসিএসে নানা বিষয় বিবেচনায় নিয়ে কাট মার্কস নির্ধারণ করা হয়। কোনো বিসিএসে ১১৫ আবার কোনোটিতে ১২৫। পারিপার্শ্বিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এটি নির্ধারিত হয়।
৪৫তম বিসিএসের কাট মার্কস কত—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, এটি আমরা প্রকাশ করতে চাই না। এই বিসিএসে অনেক কম প্রার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। সেজন্য হয়তো প্রিলিতে উত্তীর্ণের সংখ্যা কম হয়েছে।