চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২৭ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে যাদের বয়স ৩৫ বছর অতিক্রম হয়েছে তারা এমপিওভুক্ত হবেন কি না সেই প্রশ্ন মুখে মুখে।
বিষয়টিকে পুঁজি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নানা ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে ৩৫ ঊর্ধ্ব শিক্ষকরা হবেন বলে খবর ছড়ানো হচ্ছে।
বুধবার ‘চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি এনটিআরসিএ আপডেট নিউজ’ নামক একটি ফেসবুক গ্রুপে বলা হয়, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের মধ্যে যাদের বয়স ৩৫ বছর অতিক্রম হয়েছে তারা এমপিওভুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবেন। এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং হাইকোর্টের রায় স্থগিত করা হবে।
ফেসবুকের ওই পোস্টে মাউশির সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-২) এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরীর কাছ থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে বলে দাবি করা হয়েছে।
মাউশির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী বয়স ৩৫ বছর অতিক্রম হওয়া শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সুযোগ নেই কেউ যদি এ ধরনের তথ্য ছড়ায় তাহলে সেটি ভুয়া।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী বলেন, আমার নাম ব্যবহার করে যে তথ্য ছড়ানো হয়েছে এর কোনো সত্যতা নেই। এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী ৩৫ বছর অতিক্রম হলে এমপিওভুক্ত হওয়ার সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, ফেসবুকের ওই পোস্টে মাউশির একজন সচিবের কথা বলা হয়েছে। তবে মাউশিতে সচিব পদবীর কোনো কর্মকর্তাই নেই। এটি সম্পূর্ণ গুজব এবং ভিত্তিহীন তথ্য।