নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
পিএসসি ৩৪তম বিসিএস ননক্যাডার প্রধান শিক্ষকদের ফাইল গত ২০ ডিসেম্বর ২০১৬ পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে।
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হলো — প্রাক জীবনবৃত্তান্ত যাচাই(পুলিশ),স্বাস্থ্য পরীক্ষা, বেতন স্কেল সংশোধন অর্থাৎ ২০১৪ সালের ৯ মার্চের প্রজ্ঞাপন সংশোধন করে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন উভয়ের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ, মন্ত্রণালয় কর্তৃক বেতন গ্রেড উল্লেখ করে নিয়োগ আদেশ (জিও) জারি, পদায়ন আদেশ(পোস্টিং) জারি ইত্যাদি। তবে মন্ত্রণালয় অনেকসময় নিয়োগ আদেশ জারি করে পদায়ন আদেশ জারির জন্য অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়ে থাকে।
এখন দেখার বিষয় কত দ্রুতসময়ে মন্ত্রণালয় এই প্রক্রিয়া শুরু করে। এ সময়ের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলো বেতন গ্রেড।
৩৪তম বিসিএস ননক্যাডারদের অন্যান্যদের মতো ১০ম গ্রেড হচ্ছে, না বিদ্যমান প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১১শ গ্রেড ও প্রশিক্ষণবিহীন ১২শ গ্রেডই থাকছে। ১০ম গ্রেড দেওয়ার ব্যাপারে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলেও এজন্য মন্ত্রণালয় এ যাবতকালের সবচেয়ে বেশি চাপে রয়েছে।
একদিকে প্রধান শিক্ষক সমিতির বহুমুখী তৎপরতা, অন্যদিকে ৩৪তম বিসিএস ননক্যাডার সুপারিশপ্রাপ্তদের প্রচেষ্টা। তা ছাড়া প্রভাবশালী মিডিয়ার চাপ।
আগামী রবিবার দেশের অন্যতম প্রভাবশালী পত্রিকা প্রথম আলো বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করতে পারে। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের সাক্ষাৎকারও নিয়েছে পত্রিকাটি। এরপর অন্যান্য প্রধান প্রধান মিডিয়াও প্রতিবেদন প্রকাশ করবে বলে আশা করছি।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রিয় সিনিয়ার যুগ্ন সাধারন সম্পাদক এস এম সাইদুল্লাহ বলেন দুএকদিনের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী, এ সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ ও অন্যান্য প্রভাবশালী মন্ত্রীদের সাথে আলোচনা করে সবাইকে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের মতো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন উভয়কে ১০ম গ্রেড প্রদানের জন্য দাবি জানানোর পাশাপাশি ক্রসপনডিং স্কেল দিলে সকল সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি মনে করেন। আর প্রশিক্ষণের জন্য পাঁচ বছর সময় দিতে হবে।
আশাকরি একমাসের মধ্যে সকল প্রক্রিয়া শেষ করে এ নিয়োগ হবে।