নিজস্ব প্রতিবেদক,৬ মার্চ ২০২৩:
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে প্রথমবারের মতো দেশের সরকারি ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের যুক্ত হয়েছে আরও দুটি বিশ্ববিদ্যালয়। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি ও অর্থের অপচয় রোধে এমন উদ্যোগ নেয়া হলেও সেটি ফলপ্রসু হয়নি। উল্টো এই ভর্তি প্রক্রিয়ায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি আরও বেড়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তদারক সংস্থা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) বলছে, গতবারও এই ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে গিয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েছিলেন। তাই আগামীতে এ প্রক্রিয়াটি আরও সহজ করতে হবে, যাতে ভোগান্তির শিকার না হয় শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু ও শেষ এবং শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর তারিখ নির্ধারণ করে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশেরও আহবান জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স প্রথম পর্বের ফল প্রকাশ
আজ সোমবার (৬ মার্চ) ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে গুচ্ছপদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা ও ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর এ সম্পর্কিত এক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত সভায় ইউজিসি সদস্য ও সংশ্লিষ্ট কমিটির আহবায়ক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের এবং গুচ্ছের সংশ্লিষ্টরা উপিস্থত ছিলেন।
জানতে চাইলে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর শিক্ষাবার্তাকে বলেন, ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির কথা আমরা জেনেছি। তাই এবার ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি যাতে দূর হয়, সে বিষয়টি মাথায় রাখা হয়। এজন্য সংশ্লিষ্টদের আহবান জানানো হয়েছে।
এদিকে, সভায় প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর সংশ্লিষ্ট কমিটিকে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনকৃত শিক্ষার্থীকে তাদের পছন্দমতো স্থানে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানান। এছাড়া তিনি ভর্তি পরীক্ষা প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত সফটওয়্যার হালনাগাদ করে শিক্ষার্থীবান্ধব করারও পরামর্শ দেন।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর আলমগীর আরও বলেন, বিজ্ঞপ্তি ও প্রসপেক্টাসে ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত সকল শর্ত ও তথ্য উল্লেখ করতে হবে এবং ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া অবধি এসব শর্তসমূহ অপরিবর্তিত রাখতে হবে।