২০২৩ সাল থেকে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুই দিন ছুটি

দিপু মনি-শিক্ষা বার্তা

ডেস্ক,১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২
২০২৩ সাল থেকে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দুদিন হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) নতুন জাতীয় কারিকুলাম পাইলটিংয়ের জন্য ষষ্ঠ শ্রেণির নতুন পাঠ্যবই বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

আরো পড়ুনঃ প্রাথমিক খুললেও বন্ধ থাকবে প্রাক-প্রাথমিক

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এখনই সাপ্তাহিক দুদিন ছটি আছে। মাধ্যমিকে ও উচ্চ মাধ্যমিকে কোথাও কোথাও এখন দুদিন আছে। আমরা যখন কারিকুলামের রূপরেখা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলাম তখনই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষায় দুদিন ছুটি করতে চাই। পাঁচ দিন খুব মনোযোগ করে পড়বে তারপর দুদিন ছুটি থাকা দরকার। প্রাথমিক একদিন প্রস্তাব করেছিল। প্রধানমন্ত্রী তখন প্রাথমিকের পক্ষ নিয়ে বললেন—আমাদেরও দুদিন লাগে। আমরা ঠিক করেছি সবারই দুদিন হবে। এখন যারা ট্রাইআউটে (পাইলটিংয়ে) যাবে তাদের দুদিন ছুটি থাকবে। আশা করি ২০২৩ সাল থেকে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দুদিন থাকবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, একসঙ্গে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে কারিকুলাম বাস্তবায়ন করতে বিশাল আকারের বিনিয়োগ করতে হবে। প্রতিটি শিক্ষা প্রতি অবকাঠামোগত বড় পরিবর্তন আনতে হবে। সমস্ত সরঞ্জাম দিতে হবে, শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে ল্যাবরেটরি অ্যাসিটেন্ট নিয়োগ করতে হবে। এটা একটি বড় বিনিয়োগ। শিক্ষায় আমাদের বড় বিনিয়োগ করতেই হবে।
মন্ত্রী বলেন, নতুন কারিকুলাম ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন হবে। ২০২৩ সালে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণি বাস্তবায়ন হবে। আর প্রাথমিকে কোনও অসুবিধা নেই মার্চ থেকেই তারা শুরু করতে পারবে। এরই মধ্যে সংক্রমণ আরও হয়তো কমে যাবে। শিক্ষার্থীরা যখন ক্লাসে ফিরবে তখন পাইলটিং শুরু হবে।
শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট সময়ে সঠিক গন্তব্যে পৌঁছাতে নতুন কারিকুলাম করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) নতুন জাতীয় কারিকুলাম পাইলটিংয়ের জন্য ষষ্ঠ শ্রেণির নতুন বই বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। নতুন কারিকুলামের পাইলটিং আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক স্তরের ৬২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুরু হবে।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীরা শুধু জ্ঞান অর্জন নয় একইসঙ্গে দক্ষতা, সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি, মূল্যবোধ শিখতে পারবে। সব কিছুর সমন্বয় ঘটিয়ে শিক্ষার্থীরা দক্ষ মানুষ হবে। নিজেরা চিন্তা করতে শিখবে, চিন্তার জগত প্রসারিত হবে, শিক্ষার্থীরা যা শিখবে তা প্রয়োগ করা শিখবে, সমস্যা চিহ্নিত করতে পারবে, তার সমাধান খুঁজে বের করতে পারবে। আমরা শিক্ষার্থীদের সেভাবে গড়ে তুলতে চাই। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে যে গন্তব্য আমরা ঠিক করেছি, সেই গন্তব্যে পৌঁছাতে হলে গতানুগতিক যে পড়াশোনা সেটি যথেষ্ট নয়। আজকের শিশুরাই আগামী দিনে দেশের হাল ধরবে এবং দেশকে প্রত্যাশার সেই জায়গায় নিয়ে যাবে। সেই প্রত্যাশায় নতুন কারিকুলামের জন্য সবাই আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।