১৭তম নিবন্ধনে বয়সে ছাড় নিয়ে যা জানাল এনটিআরসিএ

Image

১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের মৌখিক পরীক্ষা চলছে। আগামী ২১ ডিসেম্বর এ পরীক্ষা শেষ হবে। এই নিবন্ধনের ফল প্রকাশের পর ৫ম গণবিজ্ঞপ্তি নিয়ে কাজ শুরু হবে। ১৭তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণদের ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে বয়সে ছাড় দেওয়া হবে কি না সেই প্রশ্ন তুলেছেন চাকরিপ্রার্থীরা।

চাকরিপ্রার্থীরা জানান, ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় ২০২০ সালে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দুই বছর পর ২০২২ সালের শেষ দিকে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর চলতি বছর লিখিত পরীক্ষা শেষ করে এখন মৌখিক পরীক্ষা চলছে। দীর্ঘদিন পর পরীক্ষা হওয়ায় প্রার্থীদের অনেকেরই বয়স ৩৫ বছর অতিক্রম করেছে। আবার অনেকের বয়স ৩৫ ছুঁই ছুঁই। এই অবস্থায় ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে বয়সে ছাড় দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

চাকরিপ্রার্থীদের দাবির বিষয়টি নিয়ে  কথা বলেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সাথে। সংস্থাটি জানিয়েছে, ৫ম গণবিজ্ঞপ্তি নিয়ে এখনো কাজ শুরু হয়নি। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগে প্রার্থীদের দাবির বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হবে। এরপর মন্ত্রণালয় যে সিদ্ধান্ত দেবে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ফল চলতি সপ্তাহে !

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনটিআরসিএ’র উচ্চপর্যায়ের এক কর্মকর্তা  বলেন, বয়সে ছাড় দেওয়ার ক্ষমতা এনটিআরসিএ’র হাতে নেই। বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয় দেখে। মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগ থেকে বয়সে ছাড় দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসলে তখন বিষয়টি নিয়ে কাজ করার সুযোগ পাবে এনটিআরসিএ।

ওই কর্মকর্তা আরও জানান, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ, এমপিওভুক্ত হওয়া সংক্রান্ত একটি নীতিমালা রয়েছে। ওই নীতিমালায় বয়স ৩৫ বছর অতিক্রম হলে শিক্ষক হওয়ার সুযোগ নেই। তবে ইনডেক্সধারীদের ক্ষেত্রে শর্তটি শিথিলযোগ্য। কাজেই এ বিষয়ে নতুন করে আলোচনার সুযোগ আছে বলে আমার মনে হয় না। তবে যেহেতু ২০২০ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল, সেহেতু মন্ত্রণালয় চাইলে বয়সে ছাড়ের বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।

এ বিষয়ে এনটিআরসিএ সদস্য এস এম মাসুদুর রহমান বলেন, ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের বয়সে ছাড় দেওয়া হবে কি না সে বিষয়ে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি। ৫ম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পূর্বে এ বিষয়ে আলোচনা হলেও হতে পারে।

তথ্যমতে, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ১৭তম নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ২০২২ সালের ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে এক লাখ ৫১ হাজার প্রার্থী উত্তীর্ণ হন।

চলতি বছরের ৫ ও ৬ মে শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা হয়। এতে অংশ নেন মোট এক লাখ চার হাজারের বেশি প্রার্থী। গত ৩০ আগস্ট লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ২৬ হাজার ২৪২ জন প্রার্থী।

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।