ডেস্ক: হৃদরোগে মৃত্যু-হার বেড়েই চলেছে। নানা কারণে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেও বাড়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি। এ নিয়ে ভুল ধারণা রয়েছে অনেক।
১. শাক জাতীয় নয়, এমন খাবার যেমন বেশি বেশি মাছ খাওয়া হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী নয়।
২. যে কোনো সুস্থ মানুষ হঠাৎ করেই হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারে। একে বলে নীরব আক্রমণ। এ জন্য ত্রিশোর্ধ্ব সকলের উচিত নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা।
৩. মানুষ উত্তরাধিকার সূত্রে হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারে।
৪. জীবনে সব কিছু নিখুঁত হবে- এমন ভাবা যাবে না। তাহলে হার্টের ওপর কিছুটা চাপ কমবে।
৫. জগিং করার চেয়ে হাঁটা ভালো। হৃদযন্ত্রের যতœ নেয়ার জন্য কঠিন ব্যায়াম জরুরি নয়। জগিং করলে মানুষ দ্রুত ক্লান্ত হয়ে যায় এবং জয়েন্টে ব্যথা হয়।
৬. নিম্ন রক্তচাপে যারা ভোগেন, তারাও হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন, তবে সেটা খুবই বিরল।
৭. কোলেস্টেরলের মাত্রা অল্প বয়স থেকেই ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। সুতরাং সচেতন হতে হবে কিশোরবেলা থেকেই।
৮. হৃদযন্ত্রের জন্য সবচেয়ে ভালো ফল এবং সবজি। আর সবচেয়ে খারাপ তৈলাক্ত খাবার। এ জন্য সূর্যমুখী বা জলপাই যাই বলুন সব তেলই খারাপ।
৯. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়মিত রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে সুগার এবং কোলেস্টেরলের স্বাভাবিক মাত্রা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। তাছাড়া রক্তচাপ পরিমাপও জরুরি।
১০. হার্ট অ্যাটাক হলে প্রাথমিকভাবে রোগীকে প্রথমে শুইয়ে দিতে হবে। এরপর জিহ্বার নিচে একটি এ্যাসপিরিন ট্যাবলেট রাখতে হবে। যদি পাওয়া যায় তবে এ্যাসপিরিনের পাশাপাশি একটি সরবিট্রেট ট্যাবলেটও রাখতে হবে। এরপর দ্রুত হাসপাতালে নেবার ব্যবস্থা করতে হবে। কেননা প্রথম এক ঘণ্টার মধ্যেই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়।
১১. ইসিজি ছাড়া হৃদরোগজনিত ব্যথা এবং গ্যাস্ট্রিকের ব্যথার মধ্যে পার্থক্য করা খুব কঠিন।
১২. রক্তচাপের স্বাভাবিক মাত্রা (১২০/৮০) না থাকলেও অনেকে পুরোপুরি সুস্থ থাকতে পারেন।
১৩. নিকট আত্মীয়ের মধ্যে বিয়ে করলে সন্তানের হৃদরোগ হতে পারে। কেননা এটি জন্মগত অস্বাভাবিকতার দিকে ঠেলে দেয়।
১৪. অতিরিক্ত চা বা কফি খেলে হার্ট অ্যাটাক হয় এটা সঠিক নয়।
১৫. অ্যাজমা রোগীদের হৃদরোগে আক্রান্ত হবার আশঙ্কা বেশি এটা সঠিক নয়।
১৬. রক্তে শ্বেতকণিকা এবং হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে হৃদরোগ হবে এমন নয়। কিন্তু হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ স্বাভাবিক রাখা জরুরি।
১৭. যারা রাতের শিফটে কাজ করেন তাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হবার আশঙ্কা বেশি এ ধারণা ভুল।
১৮. মেয়েদের চেয়ে ছেলেরা হৃদরোগে বেশি আক্রান্ত হয় কারণ প্রকৃতি মেয়েদেরকে ৪৫ বছর পর্যন্ত সুরক্ষা দেয়।