নিজস্ব প্রতিবেদক: অনিয়মের পাশাপাশি তালিকা প্রণয়নের কারণে বরগুনায় কোথাও কোথাও বন্ধ রয়েছে চাল বিক্রি। এতে বঞ্চিত হচ্ছেন হতদরিদ্ররা। তাই সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ।
তবে প্রশাসন বলছে, অভিযোগের সত্যতা পেলে দোষীরা ছাড় পাবে না।
বরগুনা সদর উপজেলার পাকুরগাছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক। গরিব মানুষের তালিকা তৈরির দায়িত্ব দেয়া হয় তাকে। আর এই সুযোগে তিনি নিজেই ১০ টাকা কেজি দরের চাল পেতে, হত দরিদ্রদের তালিকায় নিজের বাবা ও স্ত্রীর নাম অন্তর্ভুক্ত করে, দুটি কার্ড করিয়েছেন।
শুধু আব্দুর রাজ্জাকের বাবা ও স্ত্রী নয়, এমন একাধিক স্বচ্ছল ব্যক্তির নাম রয়েছে ওই তালিকায়। অন্যদিকে দরিদ্র হয়েও দলীয়কারণ, আর স্বজনপ্রীতির কারণে কার্ড না পাওয়ার অভিযোগ অনেকের। অভিযোগ রয়েছে ওজনে কম দেয়া ও কার্ডের পরিবর্তে স্লিপে চাল বিক্রির।
এদিকে সেপ্টেম্বর থেকে চাল বিক্রি শুরু হলেও নির্বাচিত প্রতিনিধি ও ক্ষমতাসীনদের দ্বন্দ্বের কারণে বন্ধ রয়েছে বরগুনা সদর উপজেলার গৌরীচন্না ইউনিয়নের চাল বিক্রি কার্যক্রম।
তবে খাদ্য কর্মকর্তার দাবি, নীতিমালা লঙ্ঘন করে চাল বিক্রির সুযোগ নেই।
আর জেলা প্রশাসক বলছেন, চাল বিতরণে অনিয়মের প্রমাণ পেলে কেউ ছাড় পাবে না।
বরগুনা জেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় এবার ৫৪ হাজার মানুষকে দেয়া হচ্ছে এই চাল।