সাব-ইন্সপেক্টর (SI) ভাইভা ।তাই অভিজ্ঞতা ও দিকনির্দেশনা জেনে নিন

পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) পদে নিয়োগ পরীক্ষা ২০১৮ খ্রিঃ এর অনুষ্ঠিতব্য মৌখিক পরীক্ষা
ভাইভা বোর্ড : ১(এক)টি
বোর্ডের সদস্য সংখ্যা : ৪-৬ জন
সময় : ২/৩ মিনিট (কম বেশী হতে পারে)
প্রশ্ন : ১০/১৫ টি (+-)
ভাইভা : ১০০ নাম্বার

প্রশ্নের ধরণ : বিষয়ভিত্তিক, মুক্তিযুদ্ধ, অনুবাদ, নিজ জেলা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সাম্প্রতিক বিষয় ও অন্যান্য।

বিষয়ভিত্তিক প্রশ্ন : ভাইভা ভাল করতে হলে অাপনাকে অবশ্যই বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নের স্পেসিফিক উত্তর দিতে হবে। এই অংশে ভাল করার উপর বোর্ডের পরবর্তী মুভমেন্ট অনেকাংশে নির্ভর করে। অাপনার পড়িতব্য বিষয়ের উপর প্রথমেই ২/৩টি প্রশ্ন করবেই, তাই অাপনার পড়িতব্য বিষয় সম্পর্কে ভাল ধারণা রাখুন।

মুক্তিযুদ্ধ : এসঅাই ভাইভার জন্য মুক্তিযুদ্ধ অংশ সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছোট ছোট প্রশ্ন করা হয়, পারলেই ১০০% নম্বর দেয়। এই অংশে ডিপলী প্রশ্ন করা হয়, অনেক সময় বাজারের একটি বইতে সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায় না তাই একটি বইয়ের উপর নির্ভর না করে দুই বা ততোদিক বইয়ের সাহায্য নিন। এছাড়া শেখ হাসিনা কর্তৃক মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত কয়েকটি বইয়ের নাম মনে রাখতে পারেন।

নমুনা প্রশ্ন-
১. শীর্ষ রাজাকার কে?
=> গোলাম অাজম
২. বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রধান ষড়যন্ত্রকারী কে?
=> খন্দকার মোস্তাক অাহম্মেদ
৩. অাল বদর বাহিনীর প্রধান কে?
=> মতিউর রহমান নিজামি
৪. বঙ্গবন্ধুকে গুলি করে?
=> মেজর নূর

৫. মুক্তিযুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ কে গড়ে তুলে?

=> বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী
এই ধরণের প্রশ্ন করা হবে, সাথে শেখ মুজিব হত্যা বিচার, মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে বিভিন্ন বইয়ের নাম জেনে নিবেন।
অনুবাদ : যুগটাই এখন এমন, ইংরেজি ছাড়া কোন কিছু চিন্তাও করা যায় না। কি চাকরি, কি পড়াশোনা সব জায়গায়ই ইংরেজিতে দক্ষতা এখন প্রাথমিক চাহিদা। দক্ষতা বিভিন্ন রকমের হতে পারে। তাদের ভিতরে ইংরেজিতে বলার দক্ষতা এখন সবচেয়ে বেশি চাহিদাসম্পন্ন দক্ষতা। এসঅাই ভাইভাতে প্রায় সবাইকে ১/২টি অনুবাদ জিজ্ঞাসা করা হবে। এই অংশে ভাল করার জন্য ইংরেজী প্রবাদ বাক্য পড়তে পারেন। সাধারনত যে ধরণের প্রশ্ন করা হয়-

১. অাজ খুব গরম।
→today is very hot.
২. অাজ দিনটি চমৎকার।
→today is a very nice day!
৩.জানালা দিয়ে অাকাশ দেখা যাচ্ছে।
→the sky is visible through
windows

or

the sky is being seen
through window.

৪.টেবিলের উপর একটি কলম অাছে
→there is a pen on the table

or

a pen has been kept on the table.
৫. পাখি অাকাশে উড়ে

→the birds fly in the sky.
৬.শার্টের পকেটে একটি কলম অাছে
→there is a pen in the pocket.
৭.অামার শার্টের পকেট নাই।

→I have no pocket with my shirt
or, there is no pocket in my shirt.
৮. এখান থেকে সচিবালয় দেখা যায়।
→the secretariat building is visible
from here.

উপরোক্ত বিষয়ের উপর মূলত প্রশ্ন করা হলেও অাপনার নামের অর্থ, নামের সাথে বিখ্যাত ব্যক্তি ও কোন ঘটনা থাকলে তা জেনে রাখা ভাল। অাপনার জেলার ইতিহাস, ঐতিহ্য, বিখ্যাত ব্যক্তি এবং শিক্ষা ও অর্থনৈতিক অবস্থা ইত্যাদি সম্পর্কে জেনে নিবেন। সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে অাপডেট নিউজ সংগ্রহে রাখুন।

এসঅাই নিয়োগে লিখিত পরীক্ষা অাপনি যতই ভাল দেন না কেন তার কোন মূল্য নেই যদি না অাপনি ভাইবা ভাল দেন। সব প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়ে বোর্ডকে সন্তুষ্ট করতে পারলে ৭৫-৮০ নম্বর পাবেন।

পুলিশের চলমান সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) পদে নিয়োগ সম্পূর্ণ স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ, মেধা ও যোগ্যতা ভিত্তিক হচ্ছে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি বা মহলের হস্তক্ষেপ করার কোনো সুুযোগ নেই। তাই প্রতারক বা দালালের খপ্পরে না পড়ার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি)।

আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী পুলিশকে গণমুখী করার জন্য, “দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সৎ, মেধাবী, কর্তব্যপরায়ণ এবং দিনরাত মানুষের সেবা প্রদানের মতো পরিশ্রমী অফিসার একান্ত প্রয়োজন। তাই নিয়োগ প্রক্রিয়া হবে সম্পূর্ণ নিয়মতান্ত্রিক। কারো দ্বারা প্রলুব্ধ না হবার জন্য তিনি সকল চাকরি প্রত্যাশীকে আহ্বান জানিয়েছেন।
পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টর নিয়োগে টাকা লাগে না, প্রমাণ….!!!

সোনার হরিণ সরকারি চাকরির পেছনে ছোটাছুটি করেে শেষ পর্যন্ত যোগদান থেকে বিরত থাকছেন সাব-ইন্সপেক্টর পদে উত্তীর্ণ অনেকেই। দেশে মেধাবীদের সংখ্যা বাড়ছে। মেধাবী শিক্ষার্থীরা শুধু বিসিএস ক্যাডার পদের আশায় না থেকে পুলিশের দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা এসআই পদেও আবেদন করছেন। চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর প্রাথমিকভাবে নিয়োগ বা প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের সুযোগ পাওয়া এসব মেধাবী তরুণ-তরুণী এ সময়কালে বিসিএস, ব্যাংক, নন ক্যাডারসহ নানা পদে প্রথম শ্রেণি চাকরি পেলে শেষ পর্যন্ত আর এসআই পদে যোগ দিচ্ছেন না।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা যায়…

# ২০১২ সালের (৩৩তম ক্যাডেট ব্যাচ) এসআই নিয়োগে মৌখিক পরীক্ষা শেষে ১৬২১ জনকে প্রশিক্ষণে পাঠানোর সুপারিশ করে পুলিশের নির্বাচনী বোর্ড। কিন্তু এর মধ্যে ১৯২ জনই প্রশিক্ষণে অংশ নেননি। আবার প্রশিক্ষণকালে অন্য চাকরির বৌদ্দততে যোগ দেননি আরও ৭৬ জন।
# ২০১৩ সালে (৩৪তম ক্যাডেট ব্যাচ) ১৫২০ জন প্রশিক্ষণের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হলেও তাতে অংশগ্রহণ করেন ১৩৩০ জন। প্রশিক্ষণ শেষে চাকরিতে যোগ দেন ১৩২১ জন।

# ২০১৫ সালে (৩৫তম ক্যাডেট ব্যাচ) ১৫১৭ জনকে প্রশিক্ষণের সুপারিশ করা হলেও তাতে অংশে নেন ১৩৭০ জন। প্রশিক্ষণ কালীন সময়ে বিসিএস, ব্যাংক, নন ক্যাডার চাকরি হবার সুবাধে ৬৭ জন চলে যায়, প্রশিক্ষণ শেষে ১৩২৩ জন যোগদান করলেও প্রায় ১৫ জন অন্য চাকরির গ্রেজেট প্রকাশের প্রহর গুনছেন।

# ২০১৭ সালে বহিরাগত ক্যাডেট এসঅাই (নিরস্ত্র) হিসেবে সিলেকশন বোর্ড ১৫১১ জন প্রার্থীকে প্রাথমিক ভাবে নির্বাচিত করে। উক্ত প্রার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ভিঅার সম্পন্নকরণের ১৪১০ জন প্রার্থীকে চুডান্ত ভাবে মনোনীত করে তন্মধ্যে ১৩৭৬ জন প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে। ১৭ জন অন্যত্র চাকরি পাওয়ার সুবাধে চলে এসেছে, উল্লেখ্য ৬৫+ প্রার্থী ভাইভাতে অনুপস্থিত ছিল।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।