নিজস্ব প্রতিবেদক | ৩০ জানুয়ারি, ২০২৩: ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসি পরীক্ষায় শূন্য ফলাফল অর্জনকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বেসরকারি মাধ্যমিক শাখা থেকে সোমবার (৩০ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে।
আরো পড়ুন: পাঠ্যবইয়ে যা নেই, তা নিয়ে হইচই
এতে বলা হয়, ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসি পরীক্ষায় শূন্য ফলাফল অর্জনকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তথ্যাদি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডগুলো থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয়গুলো হলো- দুর্গাপুরের জুগিশো চয়নিকা গার্লস হাই স্কুল (নন এমপিও, পরীক্ষার্থী সংখ্যা-২) ও পুটিয়ার তারাপুর হাই স্কুল (নন এমপিও, পরীক্ষার্থী সংখ্যা-১)।
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের গাইবান্ধা সাদুল্ল্যাপুরের কুঞ্জামহিপুর দ্বিমুখী বিদ্যালয় (নন এমপিও, পরীক্ষার্থী সংখ্যা-৩), নীলফামারী ডিমলার পশ্চিম হরিবাড়ী আছিয়া খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (নন এমপিও, পরীক্ষার্থী সংখ্যা-২), কুড়িগ্রাম সদরের খামার বড়াইবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় (এমপিওভুক্ত, পরীক্ষার্থী সংখ্যা-৪), দিনাজপুর খানসামা উপজেলার হাজিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় (এমপিওভুক্ত,পরীক্ষার্থী সংখ্যা-৬), পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার বলরামহাট মডেল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (নন এমপিও, পরীক্ষার্থী সংখ্যা-২)।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীন যশোর মনিরামপুর গলদা খারিঞ্চি গার্লস হাইস্কুল (এমপিওভুক্ত, পরীক্ষার্থী সংখ্যা-১), চট্টগ্রাম বোর্ডের চট্টগ্রাম জেলার পাঁচশাইল গ্লোবাল স্কলার স্কুল অ্যান্ড কলেজ (নন এমপিও, পরীক্ষার্থী সংখ্যা-১), ময়মনসিংহ বোর্ডের জামালপুরের বিজয়নগর উচ্চ বিদ্যালয় (নন এমপিও, পরীক্ষার্থী সংখ্যা-৭)।
এসব প্রতিষ্ঠানের পাশের হার শূন্য হওয়ার কারণ কী, কী ধরনের সহযোগিতা দিলে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করতে পারবে, তা নিরূপণ করে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়া ও প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ সংক্রান্ত কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো গত পাঁচ বছরের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলসহ, শিক্ষার্থী, পরীক্ষার্থী, পাশের হারের বিস্তারিত তথ্যাদি জরুরি ভিত্তিতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর অনুলিপি বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, সংশ্লিষ্ট মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে পাঠানো হয়েছে।