টঙ্গী প্রতিনিধি : ২৭ এপ্রিল : টঙ্গীর আশরাফ টেক্সটাইল মিলস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং স্কুল কমিটির সভাপতিকে অপসারণের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করা শিক্ষার্থীদের সরাতে লাঠিপেটা করেছে পুলিশ। এতে স্কুলটির ১৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১২টার দিকে শিক্ষার্থীদের অবরোধে লাঠিপেটা করে পুলিশ। এ সময় বিক্ষোভ করতে থাকা শিক্ষার্থীরা দ্বিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন। অনেকে স্কুলের ভেতরে ঢোকেন। আবার অনেকে স্কুলের বাহিরে অবস্থান করেন।
স্কুলটির কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, স্কুলের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন ও স্কুল কমিটির সভাপতি শাজাহান কবির নিয়ম বহির্ভূতভাবে আবু বক্কর ও হারুন নামে দুইজন শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার করেন। আরও পাঁচ থেকে ছয়জন শিক্ষককে গত তিন বছর ধরে বেতন দেয়া হয় না। এছাড়া গত এসএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করেন প্রধান শিক্ষক ও স্কুলের সভাপতি। এর প্রতিবাদে তারা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হন।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, বিক্ষোভ করার এক পর্যায়ে পুলিশে এসে তাদের মহাসড়ক ছাড়তে বলে। কিন্তু মহাসড়ক ছাড়তে রাজি না হওয়ায় পৌনে ১২টার দিকে পুলিশ বেধড়ক লাঠিপেটা করে। এতে স্কুলটির ১০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। পুলিশের লাঠির আঘাতে তিন শিক্ষার্থীর মাথা ফেটে গেছে। এদের মধ্যে দুইজন মেয়ে ও একজন ছেলে শিক্ষার্থী রয়েছেন। তাদের টঙ্গী সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তবে মাথা ফেটে যাওয়া ওই ছাত্র ঢাকাটাইমসকে জানান, বিক্ষোভ করার সময় স্কুলের প্রধান শিক্ষকের লাঠির আঘাতে তার মাথা ফেটে গেছে। এছাড়া পুলিশও অন্য শিক্ষার্থীদের সরাতে লাঠিপেটা করেছে।
এ ঘটনার পর উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা স্কুলের ভেতরে থাকা প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেনকে পিটিয়েছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, পুলিশের লাঠিপেটার পর শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক থেকে সরে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে। তবে এখনো ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
লাঠিপেটার ব্যাপারে টঙ্গী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদারের বক্তব্য জানার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে এর আগে মহাসড়ক অবরোধের সত্যতা নিশ্চিত করে ঢাকাটাইমসকে ওসি বলেছিলেন, সড়ক থেকে সরে যেতে শিক্ষার্থীদের বোঝানো হচ্ছে। আশা করছি শিগগিরই তারা সড়ক ছাড়বে।