ক্লাস রুটিনে প্রধান শিক্ষককে ক্লাস দেওয়ায় সহকারী শিক্ষককে পেটানোর ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক অহিদুল হককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকালে তাকে গ্রেপ্তার করে রুহিয়া থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
নির্যাতিত সহকারী শিক্ষক ভবনন্দ পালের স্ত্রী বাদী হয়ে প্রধান শিক্ষকসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর তাকে গ্রেপ্তার করা হলো।
জানা যায়, গত ২৩ জানুয়ারি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার দীপশিখা নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিএসসি শিক্ষক ভবানন্দ পাল ওই বিদ্যালয়ের ক্লাস রুটিন তৈরি করে এবং বিভিন্ন শিক্ষকের কাজ বণ্টন করেন। রুটিনে প্রধান শিক্ষক অহিদুল হককে ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির ইংরেজি ক্লাস দেয়া হয়। প্রধান শিক্ষক কোনোদিন কোনো ক্লাস নেন না। তাকে ক্লাস দেওয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং রুটিন প্রস্তুতকারী বিএসসি শিক্ষক ভবানন্দ পালকে শার্টের কলার ধরে এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করেন।
এ সময় সহকারী শিক্ষক আব্দুল বাতেন, আনন্দ শর্মা, নজরুল ইসলাম ও ক্লার্ক মখলেসুর রহমান ও দুলালও প্রধান শিক্ষকের পক্ষ নিয়ে মাফলার দিয়ে ভবানন্দ পালকে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধোর করে। চিৎকার শুনে পথচারী লোকজন ছুটে এসে উত্তেজিত শিক্ষকদের কাছে থেকে বিএসসি শিক্ষককে উদ্ধার করে এবং ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
সেই থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিএসসি শিক্ষক ভবানন্দ পাল। ওই ঘটনায় আজ ভবানন্দ পালের স্ত্রী গীতা বাদী হয়ে প্রধান শিক্ষকসহ ৫ শিক্ষককে আসামি করে রুহিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রুহিয়া থানা পুলিশের উপপরিদর্শক তসির উদ্দীন প্রধান শিক্ষক অহিদুল হককে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসেন।
রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। শিক্ষক নির্যাতনকারী কোনো শিক্ষক নামধারী সন্ত্রাসীর নিস্তার নেই বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।