বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হয় শিক্ষক নিবন্ধনের সনদ অর্জনের মাধ্যমে। নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় পৃথকভাবে ৪০ শতাংশ নম্বর পেলে পাস ধরা হয়। তবে আগামীতে পাস নম্বর বাড়ানো হতে পারে।
এনটিআরসিএর একাধিক কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে শূন্য পদের চাহিদা থেকে ২০ শতাংশ বেশি প্রার্থীকে উত্তীর্ণ করা হচ্ছে। তবে ভবিষ্যতে যতগুলো শূন্যপদ থাকবে সেই সংখ্যক সনদ দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে পাস নম্বরও বাড়ানো হতে পারে।
এনটিআরসি’র একটি সূত্র জানিয়েছে, গণহারে শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দেওয়ার প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে আসার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে এমন প্রার্থীদেরই পাস করানো হবে। এক্ষেত্রে মৌখিক পরীক্ষাতেও কড়াকড়ি করা হতে পারে। এটি বাস্তবায়ন হলে সনদ পাওয়া ব্যক্তিরা বেকার থাকবেন না।
আরও পড়ুন: বছরে তিনটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরিকল্পনা এনটিআরসিএ’র
এ বিষয়ে এনটিআরসিএ’র সচিব মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, আমরা সবাইকে নিবন্ধন সনদ দিতে চাই না। বিষয় ভিত্তিক শূন্য পদের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষক নিবন্ধনের সনদ দিতে চাই। এর ফলে কেবল পাস করলেই নিবন্ধন সনদ পাওয়ার সুযোগ বন্ধ হবে।
তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে আমরা শিক্ষক নিবন্ধনের পাস নম্বর বাড়ানোর পরিকল্পনা করছি। আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে পাস নম্বর ৫০ হবে। এতে সহজেই কেউ নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারবেন না। মেধাবীরাই পরীক্ষায় পাস করবে। আমরা অধিক মেধাবী শিক্ষক পাব।