আর্থিকভাবে দৈন্য ও দৈবদুর্বিপাকে পড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এখন থেকে ঘরে বসেই মোবাইল ফোন অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম পাঁচ হাজার টাকা পাবেন।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন পাসের মাধ্যমে শিক্ষকদের মোবাইল অ্যাকাউন্টে এই টাকা পৌঁছে যাবে। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট বিল, ২০২৩’ পাস হয়। এর আগে আইনটি পাস হয়।
তিনি আরও বলেন, গত পরশু জাতীয় সংসদে আমাদের মন্ত্রণালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন পাস হয়েছে। এতে আমাদের দেশের ৪ লাখ ৬২ হাজার শিক্ষকের জন্য গত ৭ থেকে ৮ বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩৬ কোটি টাকা দিয়েছেন। কিন্তু আইন না থাকার কারণে সারা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা শিক্ষকদের আর্থিক দৈন্য ও দৈব-দুর্বিপাকে সহায়তা করতে পারি না।
আইনটি পাস হওয়াকে যুগান্তকারী উল্লেখ করে সচিব বলেন, আমরা পরিকল্পনা করেছি, সেপ্টেম্বরের মধ্যেই মোবাইলে সফটওয়্যারের মাধ্যমে গ্রামে বসে শিক্ষকরা আবেদন করতে পারবেন। মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তার ন্যূনতম পাঁচ হাজার টাকা তাদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে। আমি মনে করি, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এতে দারুণভাবে উপকৃত হবেন।
পাস হওয়া বিলে বলা হয়েছে, চাকরিরত অবস্থায় কোনো শিক্ষকের মৃত্যু হলে তার নাবালক সন্তানের প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার ব্যয় বহন করা হবে। এ ছাড়া প্রতিবন্ধী শিশু বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর প্রয়োজনে খরচ দেয়া হবে।
বিলে আরও বলা হয়েছে, চিকিৎসা খরচসহ কিছু আর্থিক সুবিধা পাবেন শিক্ষকেরা। শিক্ষকদের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ট্রাস্ট ফান্ডে জমা দিতে হবে এবং তা বিধির মাধ্যমে নির্ধারিত হবে।