কুষ্টিয়াঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষক ড. মোস্তাফিজুর রহমানকে মারধরের অভিযোগে ব্যাংক কর্মকর্তা সোহেল মাহমুদকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে অগ্রণী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) রাতে অগ্রণী ব্যাংক খুলনা সার্কেলের উপ-মহাব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরো পড়ুন: এমপিও আপিল কমিটির সভা মঙ্গলবার
অভিযুক্ত সোহেল মাহমুদ অগ্রণী ব্যাংক কুষ্টিয়া জেলার চৌড়হাস ব্রাঞ্চের কর্মকর্তা ছিলেন। ভুক্তভোগী অধ্যাপক মোস্তাফিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের আল হাদীস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক । তিনি এবং ওই ব্যাংক কর্মকর্তা কুষ্টিয়া হাউজিং ডি ব্লক এলাকায় পাশাপাশি বাস করেন।
চিঠিতে বলা হয়, একজন ব্যাংক কর্মকর্তা হয়ে ইবি শিক্ষককে মারধর করায় ব্যাংকের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে যা ব্যাংক আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ব্যাংক আইনে সোহেল মাহমুদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
এ বিষয়ে অগ্রণী ব্যাংক চৌড়হাস শাখার ব্যবস্থাপক শামীম আহমেদ বলেন, ‘আমরা নোটিশটি হাতে পেয়েছি এবং তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।’
কেন্দ্রীয় অগ্রণী ব্যাংক শাখার ডিজিএম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে তার জবাব পেলে এবং বিস্তারিত তদন্তের পরে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’
এদিকে বিষয়টি সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন ব্যাংক কর্মকর্তা সোহেল মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘আমি একটা বড় ষড়যন্ত্র ও প্রতিহিংসার শিকার। এর বেশি কিছু বলতে চাচ্ছি না।’
বুধবার সকালে ড. মোস্তাফিজুর রহমানের উপর ব্যাংক কর্মকর্তা সোহেল মাহমুদ অতর্কিত হামলা করেন। পরে এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, শিক্ষক সমিতি ও রেজিস্ট্রার বরাবর পৃথক তিনটি লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তাকে বহিষ্কার এবং শাস্তির দাবিতে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির আশ্বাসে তারা আন্দোলন স্থগিত করেন।