শনিবার থেকে এমপিওভুক্তির অনলাইন আবেদন শুরু

ডেস্ক,৩১ জুলাই: আগামী শনিবার (৪ আগস্ট) থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করতে অনলাইন আবেদন কার্যক্রম শুরু হবে। পরবর্তী ১৫ দিন পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে। এ সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন এমপিওভুক্তি সংক্রান্ত কমিটির প্রধান মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমেদ।

এ বিষয়ে জাবেদ আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘সকল প্রক্রিয়া শেষ। আগামী ৪ আগস্ট থেকে অনলাইন আবেদন কার্যক্রম শুরু হবে। পরবর্তী ১৫ দিন পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হবে। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানের তালিকা ও তাদের দেয়া তথ্য-উপাত্ত প্রতিবেদন আকারে শিক্ষা সচিব বরাবর দেয়া হবে। এ সংক্রান্ত কাল বুধবার একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘এমপিওভুক্তি আবেদন গ্রহণ সফটওয়্যারটি একটি অটোমেশন সিলেকশন সফটওয়্যার হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। শর্ত পূরণ ও এমপিওভুক্তির জন্য যোগ্যদের অটোমেটিকভাবে একটি তালিকা আকারে সেট করবে। আমরা সেই প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেব।’ এ সফটওয়্যারের মাধ্যমে শুধুমাত্র জেনারেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আবেদন গ্রহণ করা হবে বলেও জানান জাবেদ আহমেদ।

এমপিওভুক্তির নীতিমালা অনুযায়ী দেখা গেছে, এক একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাত্র একটি স্তরে এমপিও দেয়া হবে। অর্থাৎ কোনো প্রতিষ্ঠান ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত হলে, সেখানে নিম্ন মাধ্যমিক (অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত) অথবা মাধ্যমিক (নবম-দশম) যে কোনো একটি স্তরে এমপিওভুক্ত করা হবে। সফটওয়্যার সেভাবে তৈরি হচ্ছে।

শিক্ষা মন্ত্রলালয় সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকলেও প্রথম পর্যায়ে মাত্র ১ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তি করা হবে। তার মধ্যে নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক স্কুল পর্যায়ে ৪০০টি, স্কুল অ্যান্ড কলেজ ১০, কলেজ ৭৫, ভোকেশনাল স্কুল ও কলেজ ৩০০টি, মাদরাসা ১০০টি এবং ১১৫টি বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ রয়েছে।

এমপিও নীতিমালায় বলা আছে, শিক্ষকদের নিয়োগে ৩৫ বছর নির্ধারণ করে নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে। ১০০ নম্বরের গ্রেডিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি করা হবে। তার মধ্যে একাডেমিক স্বীকৃতিতে ২৫ নম্বর (প্রতি দুই বছরের জন্য পাঁচ নম্বর। ১০ বা তার চেয়ে বেশি বয়স এমন প্রতিষ্ঠানের জন্য ২৫ নম্বর)। শিক্ষার্থীর সংখ্যার ওপর ২৫ নম্বর (কাম্য সংখ্যার জন্য ১৫ নম্বর, এরপর ১০ শতাংশ বৃদ্ধিতে পাঁচ নম্বর)। পরীক্ষার্থীর সংখ্যার জন্য ২৫ নম্বর (কাম্য সংখ্যার ক্ষেত্রে ১৫ ও পরবর্তী প্রতি ১০ জনের জন্য পাঁচ নম্বর)। পাবলিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণের জন্য ২৫ নম্বরের (কাম্য হার অর্জনে ১৫ নম্বর ও পরবর্তী প্রতি ১০ শতাংশ পাসে পাঁচ নম্বর) গ্রেডিং করা হবে।

প্রভাষকদের এমপিওভুক্তিতে বিষয়ভিত্তিক ২৫ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে। তবে বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ১৫ জন করা হচ্ছে। তবে নতুন জনবল কাঠামোতে সৃষ্ট পদের শিক্ষক-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন-ভাতা দেয়া হবে না, কিন্তু নতুন পদে এমপিওভুক্ত করা হবে। নতুন জনবল কাঠামোর বাইরে কর্মরত পদ শূন্য হলে নতুন করে নিয়োগ দেয়া যাবে না। যারা এমপিওভুক্ত নন কিন্তু বৈধভাবে নিয়োগ পেয়েছেন, তাদের নতুন পদে পদায়ন করতে হবে।

এদিকে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রায় এক মাস ধরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলন করেন। এর মধ্যে গত ১৫ দিন ধরে আমরণ অনশন পালন করেন তারা।

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।