দীর্ঘ ১৬ মাস বেতন-ভাতা না পেয়ে মানববন্ধন করেছে লাকসাম মডেল কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা। বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কলেজ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
শিক্ষকরা জানান, চক্রান্তমূলকভাবে বেতন-ভাতা উত্তোলনে বাধা দেওয়াসহ এমপিওভুক্ত এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংসকারী ব্রাড সংস্থার প্রতারণা ও বারবার সমঝোতার কথা বলে জমি দখলের পাঁয়তারা ও হয়রানিমূলক মামলা, এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে দান করা জমিকে নিজেদের সম্পত্তি বলে আত্মসাতের হুমকি দিচ্ছে। তারই প্রতিবাদে কলেজ শিক্ষক-কর্মচারী-শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধন করেন।
শিক্ষকরা আরও জানান, ব্রাড সংস্থা শিক্ষক-কর্মচারীদের ১৬ মাসের বেতন-ভাতা উত্তোলনে বাধা দিচ্ছে। এমপিওভুক্ত এ প্রতিষ্ঠানে সংস্থা পরিচালিত বিশেষ কমিটি চাপিয়ে দেওয়া, ব্রাড সংস্থা এমপিও বাতিল করে তা এ প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করছে। শিক্ষার্থী ভর্তি প্রক্রিয়ায় বাধা ও প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, শ্রেণীকক্ষে জোরপূর্বক প্রবেশ করে নানা ধরনের হুমকি প্রদান ও নীতিমালা বহির্ভূত সংস্থা মনোনীত অবৈধ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ করে এ প্রতিষ্ঠানে চাপিয়ে দিয়ে নিজেদের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
মানববন্ধন শেষে কলেজে সংবাদ সম্মেলনে মিলনায়তনে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মঞ্জুরুল আলম লিটন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একটি কুচক্রীমহল কলেজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। এ ছাড়াও ওই কুচক্রীমহল কলেজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমা সৃষ্টি করায় কলেজের শিক্ষক- কর্মচারীদের ১৬ মাস যাবত বেতন ভাতা বন্ধ রয়েছে। ফলে শিক্ষকরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। মানবিক দিক বিবেচনা করে শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবী জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর ২০০০ সালে কলেজটি এমপিওভুক্ত হয়। কিন্তু কলেজের শিক্ষক কর্মচারীদের হয়রানির উদ্দেশ্যে ২০০১ সালে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর বশির আহম্মেদের স্ত্রী খোদেজা বেগম লিনা বিভিন্ন অজুহাতে কলেজ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। এ পর্যন্ত প্রায় ২০টি মামলা হয়েছে। কিন্তু সবগুলো মামলার রায় কলেজের পক্ষে এসেছে।
এ সময় কলেজের সহকারী অধ্যাপক সালমা জাহান চৌধুরী, আবদুল আউয়াল সিদ্দিকী, মরিয়ম বেগম, ওমর খসরু, লিয়াকত আলী,আবদুস সোবহান, মল্লিকা ভৌতিক, মহাসিন হোসেন, মাইন উদ্দিন ভুইঁয়া, জাহাঙ্গীর আলম, বাহারুল আলম, বিএম আসফাদুজামান, শামীম উল্লাহ, আল মামুন, আবু বকর সিদ্দিকী, গোলাম মোর্শেদ, মমতাজ বেগম,সফিকুর রহমান, জোবেদা বেগমসহ শিক্ষার্থী-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে ব্রাডের কর্ণধার খোদেজা আক্তার লীনা বলেন, আমি হাইকোর্ট এবং বোর্ড অনুমোদিত কমিটির সভাপতি। আমার নিয়োগ করা অধ্যক্ষকে পাশকাটিয়ে তারা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে চালাচ্ছে। আমি বেতন দিতে চাই কিন্তু তারা সহযোগিতা করছেনা।