ক্রীড়া ডেস্ক,২৯ মার্চ ২০২৩: শেষ রক্ষা হলো না দক্ষিণ আফ্রিকার, ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে সিরিজ হাতছাড়া করল তারা। মঙ্গলবার রাতে সিরিজ নির্ধারণী অঘোষিত ফাইনালে মুখোমুখি হয় দুই দল। যেখানে প্রোটিয়াদের ৭ রানে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, সেই সাথে ২-১ ব্যবদগানে সিরিজ জিতলো তারা।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি আজ
নিকোলাস পুরান আর রোমারিও শেফার্ডের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের পর বল হাতে আলজারি জোসেফের পাঁচ উইকেট; ক্যারিবীয়দের জয়ের জন্য এটুকোই যথেষ্ট ছিল৷ বিপরীতে রেজা হেনড্রিকস ৪৪ বলে ৮৩ ইনিংস খেলেও দলকে জেতাতে পারেননি, বিফলে যায় তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস৷ যদিও সম্ভাবনা তৈরী করেছিল প্রোটিয়ারা, তবে শেষ নাগাদ স্বাগতিকদের সিরিজ হাত ফসকায়।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে এইদিন চতুর্থ ওভারেই জোড়া উইকেট হারায় ক্যারিবীয়রা। সেই ওভারে রাবাদার জোড়া শিকার হয়ে ফেরেন কাইল মায়ার্স (১৭) ও আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান জনসন চার্লস (০)। দলকে বড় সংগ্রহের পথে রাখেন নিকোলাস পুরান। বেন্ডন কিংয়ের সাথে গড়েন ৩১ বলে ৫৫ রানের জুটি। ২৫ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলেন কিং।
এরপর দ্রুত আরো কিছু উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ, এই সময় ২ চার আর ৪ ছক্কায় মাত্র ১৯ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলে আউট হন পুরান। এরপর পাওয়েল, রেইফাররা চেষ্টা করলেও ঠিক যেন জমছিল না। এমতাবস্থায় রোমারিও শেফার্ড আসেন তার উপশম হয়ে, ২২ বলে হার না মানা ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ফলে দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ২২০ রান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২১ বলে সমান ২১ রানে ডি কক ফিরলেও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় প্রোটিয়ারা। রেজা ও রাইলি রুশো মিলে মাত্র ৪৫ বলে যোগ করেন ৮০ রান। ২১ বলে ৪২ রান করে রুশো আউট হলেও রেজা খেলতে থাকেন তার মতো করে। এইডেন মার্করাম ও ডেভিড মিলারের সাথে গড়েন সমান ৩৭ রানের জুটি।
এরই মাঝে ক্যারিয়ারের ১৩তম টি-টোয়েন্টি অর্ধশতক হাঁকান রেজা। ১৯ তম ওভারের প্রথম বলে আউট হবার আগে খেলেন ১১ চার আর ২ ছক্কায় ৪৪ বলে ৮৩ রানের ইনিংস। দলীয় সংগ্রহ তখন ৪ উইকেটে ১৮৬, জয়ের জন্য ১১ বলে চাই ৩৫ রান। সেই সমীকরণ মেলাতে গিয়ে সেই ওভারেই জোসেপের শিকার হন ৩ উইকেট, দেন মোটে ৯ রান।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার ২৬ রানের প্রয়োজন হলে ১৮ রান সংগ্রহ করতে পারে দলটি। মার্করাম চেষ্টা করেও দলকে জেতাতে পারেননি৷ তিনি অপরাজিত ছিলেন ১৮ বলে ৩৫ রানে। ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন আলজারি জোসেফ, সিরিজ সেরার পুরস্কার যায় জনসন চার্লসের ঝুলিতে।