রিভিউ খারিজ, শিক্ষক নিয়োগে পঁয়ত্রিশোর্ধ্বদের আবেদনের সুযোগ

চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি:

ডেস্ক:

শিক্ষক পদে নিয়োগ পেতে পঁয়ত্রিশোর্ধ্ব নিবন্ধিতদের আবেদনের সুযোগ দিয়ে দেয়া রায়ের ওপর এনটিআরসিএর করা রিভিউ আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ফুল কোর্ট রিভিউ খারিজের আদেশ দেন। রিটকারী প্রার্থীদের আইনজীবী জাহাঙ্গীর কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন: মাদরাসা শিক্ষকদের জানুয়ারির এমপিওর চেক ছাড়

জানা গেছে, আগে শিক্ষক নিয়োগে বয়সসীমা ছিলো না। পরে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে এমপিও নীতিমালা জারি করে শিক্ষক নিয়োগের সর্বোচ্চ বয়স ৩৫ নির্ধারণ করা হয়। পরে পঁয়ত্রিশোর্ধ্ব নিবন্ধিতরা রিট মামলা করেন। রিট মামলার শুনানি শেষে হাইকোর্ট এমপিও নীতিমালা জারির আগে যারা শিক্ষক নিবন্ধন সনদ পেয়েছিলেন তাদের আবেদনের সুযোগ দেয়ার নির্দেশ দিয়ে রায় দেয়। পরে সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে আপিল করে এনটিআরসিএ। আপিলেও হাইকোর্টের রায় বহাল থাকে। পরে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে ও বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তিতে এমপিও নীতিমালা জারির আগে অর্থাৎ ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ১২ জুনের আগে যারা নিবন্ধিত হয়েছিলেন তাদের শিক্ষক পদে নিয়োগ পেতে আবেদনের সুযোগ দেয়া হয়েছিলো।

কিন্তু আপিল বিভাগের সেই রায়ের রিভিউ চেয়ে আবেদন করেছিলো এনটিআরসিএ। রিভিউ আবেদন করায় চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ১২ জুনের আগে নিবন্ধিত পঁয়ত্রিশোর্ধ্ব প্রার্থীদের শিক্ষক পদে নিয়োগের আবেদনের সুযোগ দেয়া হয়নি। তবে সে রিভিউটি খারিজ করে দিয়েছে আপিল বিভাগ।

আইনজীবী জাহাঙ্গীর কবীর দৈনিক শিক্ষাবার্তা ডটকমকে জানান, মাননীয় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ফুল কোর্ট এনটিআরসিএর রিভিউ আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। আমার ক্লায়েন্টরা নিবন্ধিত। তারা এমপিও নীতিমালা জারির আগে নিবন্ধন সনদ অর্জন করেছিলেন। তারা তৃতীয় ও বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ পেলেও চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে তাদের সে সুযোগ দেয়া হয়নি।

তিনি আরও বলেন, আমার ক্লায়েন্টরা যখন নিবন্ধিত তখন বয়সের সীমা ছিলো না। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাদের নিয়োগ দিতে পারেনি। পরে বয়সের সীমা আসলে আমার ক্লায়েন্ট রিট করেছিলো। জাজমেন্টও তাদের পক্ষে এসেছিলো। পরে এনটিআরসিএ আপিল বিভাগে মামলা করে। সে জাজমেন্টও আমার ক্লায়েন্টের পক্ষে যায়। পরে এনটিআরসিএ রিভিউ করে। সে রিভিউটি খারিজ হয়ে গেছে। তাই আমার ক্লায়েন্ট যারা ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে ১২ জুনের আগে নিবন্ধন সনদ অর্জন করেছিলেন তারা শিক্ষক নিয়োগে আবেদনের সুযোগ পাবেন।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।