নিজস্ব প্রতিবেদক |
যৌন নিপীড়নের অভিযোগে জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক মুহাম্মদ রুহুল আমিনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে- নাট্যকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ রুহুল আমিনের হাতে যৌন নিপীড়ন ও হয়রানির শিকার হন ওই বিভাগের তিন নারী শিক্ষকসহ অনেক শিক্ষার্থী। এ ব্যাপারে ওই তিন নারী শিক্ষক গত ১৭ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। দুই মেয়াদের পর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় কমিটি।
পরে গত ২২ সেপ্টেম্বরর সিন্ডিকেট সভায় অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় শিক্ষক রুহুল আমিনকে বাধ্যতামূলক অবসর দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর আগে অভিযোগ দেয়ার পর সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ রুহুল আমিনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
জানা যায়, ওই ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আজিজুল হককে প্রধান করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক একেএম জাকির হোসেন ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মাহবুবা কানিজ কেয়াকে সদস্য করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে ব্যর্থ হয়ে ৮ কর্ম দিবসের সময় চেয়ে নেয় কমিটি।
সিলগালা করে রাখা তদন্ত প্রতিবেদনটি ২২ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৬১তম সভায় খুলে দেখা হয়। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী শিক্ষক রুহুল আমিন অপরাধী প্রমাণিত হয়েছেন।
উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়ন নিরোধ নীতিমালা ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী নৈতিক স্থলনের দায়ে ওই শিক্ষককে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। সমস্ত বিষয় পর্যালোচনা করে শিক্ষক রুহুল আমিনকে বাধ্যতামূলক অবসর দেয়ার সিদ্ধান্ত দেয় সিন্ডিকেট বোর্ড।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবির জানান, প্রশাসনের সিদ্ধান্ত ওই শিক্ষককে অবগত করার জন্য বৃহস্পতিবার চিঠি ইস্যু করা হয়েছে