কলেজের প্রধান সহকারী আব্দুস সবুর খান জানান, কিছু শিক্ষার্থী অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করতে চান। তিনি অধ্যক্ষের কাছ থেকে দেখা করার অনুমতি এনে দিলে বেশ কিছু শিক্ষার্থী অধ্যক্ষের অফিস কক্ষে কথা বলতে যান।
এ সময় হঠাৎ কিছু উচ্ছৃঙ্খল শিক্ষার্থী অধ্যক্ষের অফিসের জানালা এবং আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। কিছুক্ষণ পরে প্যাথলজি বিভাগেও তারা ভাঙচুর করে। ঘটনার সময় বহিরাগতরাও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দিয়ে ভাঙচুর করেছে বলে জানান তিনি।
তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, কলেজ শাখা ছাত্রলীগের দুই শীর্ষ নেতাই পঞ্চম বর্ষে অকৃতকার্য হয়েছেন। তাদের পাশ করিয়ে দেওয়ার দাবি অগ্রাহ্য হওয়ায় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। তবে এই তথ্য কলেজ সংশ্লিষ্ট কোনো সূত্র নিশ্চিত করেনি।
মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আবু হেনা মো. মাহবুবুল মওলা চৌধুরী বলেন পরীক্ষা ফল প্রকাশিত হয়েছে সবে গতকাল। কে পাশ করেছে আর কে ফেল করেছে তা এখনও অজানা। ফলে পাশ-ফেল নিয়ে কোনো ঘটনা ঘটার কথা নয়।
তিনি জানান, ভাঙচুরের ঘটনায় একাডেমিক কাউন্সিলের জুরি সভায় সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে ডা. নিকুঞ্জবিহারী গোলদারকে।
আগামী সাত দিনের মধ্যে কমিটি তদন্ত রিপোর্ট পেশ করবে। দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কোতয়ালি থানার ওসি মো. ইলিয়াস হোসেন জানান ভাঙচুরের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ পুলিশকে কোনো অভিযোগ জানায়নি। অভিযোগ দিলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।