ডেস্ক,৭ ডিসেম্বর ২০২১ঃ
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অসৌজন্যমূলক বক্তব্য দেওয়ায় তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন তিনি। সদ্য পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া এই প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই।
আরো পড়ুনঃ দেশে ফিরেই প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চান মাহি, বলবেন অনেক কিছু
সম্প্রতি ডা. মুরাদ হাসান একের এক বিতর্কিত মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগ ভাইরাল হয়ে পড়ে। সোশাল মিডিয়ায় এক সাক্ষাৎকারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কন্যা জাইমা রহমানকে নিয়ে বর্ণবিদ্বেষী এবং নারীর প্রতি অবমাননাকর বক্তব্য করেন ডা. মুরাদ। এরপর চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে মুরাদের অশ্লীল কথোপকথন সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। একই সময় সোশ্যাল মিডিয়াতে আসা আরেকটি ভিডিওতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া ও শামসুন্নাহার হলের ছাত্রলীগ নেত্রীদের নিয়েও অবমাননাকর কথা বলতে দেখা যায় মুরাদকে। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা ঝড় উঠে।।
শুধু নায়িকা মাহিয়া মাহি কিংবা জাইমা রহমানই নয়, তার আপত্তিকর মন্তব্যর শিকার হয়েছিলেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রনায়িকা মৌসুমীও। তাও একবার নয়, দুইবার! বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন সিনেমাপ্রেমীরাও। তবে এই বিষয়টি সেভাবে প্রকাশ্যে আসেনি। গত অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে ‘স্বপ্নের রাজকুমার’ সিনেমার মহরতে ডা. মুরাদ হাসান বলেন, ‘অসাধারণ একটি ছবি “কেয়ামত থেকে কেয়ামত”। সুপার-ডুপার হিট। মৌসুমী এখনো অভিনয় করছেন। সবই ভালো, শুধু ওয়েটটা কমাতে হবে। ফিল্মে যারা অভিনয় করবেন, তাদের কাছে হাতজোড় করে অনুরোধ করছি, ওয়েটটার দিকে নজর রাখবেন।’ বিষয়টি নিয়ে আরও ব্যঙ্গাত্মকভাবে কথা বলেন এই রাজনীতিবিদ।
এরপর গত ৩০ নভেম্বর, ‘ময়ূরাক্ষী’র মহরতে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এর আগে মৌসুমীকে নিয়ে কথা বলেছিলাম। অনেকেই মাইন্ড করেছেন। মৌসুমীকে টার্গেট করে বলেছি, তা তো নয়। আমি সবাইকে বলেছি। একজন নায়িকার ওয়েট কন্ট্রোল করতে হবে। নায়িকার ভূমিকায় কেউ যদি এমন “মোটাসোটা” হয়, এতে বাংলাদেশের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়।’
সর্বশেষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অসৌজন্যমূলক বক্তব্যের কারণে দেশজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়েন ডা. মো. মুরাদ হাসান। তার সঙ্গে যুক্ত হয়, চিত্রনায়ক ইমন ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার ঘটনা। সেখানে তিনি মাহিকে উদ্দেশ করে ধর্ষণের হুমকি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে তাকে তুলে নিয়ে আসার হুমকি দেন।