ভারতের গুজরাটে ২০০২ সালে দাঙ্গা ও তাতে দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূমিকা নিয়ে বানানো বিবিসির ডকুমেন্টারি সিরিজ দেখানোকে কেন্দ্র করে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে। ঘটনার পর ব্যাপক ধরপাকড় চালিয়েছে পুলিশ। প্রতিবেদন এনডিটিভির।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিবিসির করা সেই ডকুমেন্টারি দেখানো বন্ধ করতে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করা হয়েছে দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের। একই পরিস্থিতি করা হয়েছে এছাড়া দিল্লি ও আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয়ও।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের বাইরে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বড় জমায়েত। ১৪৪ ধারার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ‘গো ব্যাক দিল্লি পুলিশ’ স্লোগান দেয়। এর আগে আটক করা হয় ২৪ জনকে।
আরো পড়ুন: গণিত শিক্ষক চাওয়া এ কেমন প্রশ্নপত্র?
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষ প্রকাশ্যে মোদির ডকুমেন্টারি দেখতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে ডকুমেন্টারির লিংক।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে বড় ধরনের জমায়েত করে ডকুমেন্টারি দেখানো হলে নেয়া হবে ব্যবস্থা।
এদিকে, মোদিকে নিয়ে করা বিবিসির ডকুমেন্টারি আবারও দেখানো হয়েছে হায়দরাবাদ ইউনিভার্সিটিতে। যার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে বিতর্কিত চলচ্চিত্র ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ দেখায় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)।
ডকুমেন্টারি দেখানোর পর দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আটক করা হয় কয়েক শিক্ষার্থীকে। মোদির ডকুমেন্টারি দেখানোর পর সেখানে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটিতে শুক্রবারও ক্লাস হয়নি।
ভারত সরকার ইতোমধ্যেই মোদিকে নিয়ে করা বিবিসির ডকুমেন্টারিকে ‘প্রপাগান্ডা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এর ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে টুইটার ও ইউটিউবে এটি ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।