মেসি-এমবাপে: কার পাল্লা ভারী?

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক,১৭ ডিসেম্বর ২০২২: ফাইনাল মহারণ ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনার মাঝে। সেই লড়াইয়ের মাঝেও আছে আরেকটি ক্ল্যাসিক দ্বৈরথের অপেক্ষা। লিওনেল মেসি বনাম কাইলিয়ান এমবাপে। শিরোপার মঞ্চে যে লড়াইয়ের আগে কথার ফুলঝুরি আর পরিসংখ্যানের বহর ছড়াচ্ছে বাড়তি উত্তাপ।

এবারের বিশ্বকাপে দুজনেরই ঝুলিতে জমেছে পাঁচটি করে গোল। যৌথভাবে আসরে সর্বাধিক গোলের তকমা ফাইনালে নামার আগে দুজনেরই পাশে। গোল্ডেন বুট জেতার সুযোগও তাদের দুজনের সামনেই। সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে সোনার বুট কে জিতে নেন, ফাইনালে হবে সেটির খোলাসা। মেসি আছেন গোল্ডেন বল জেতার দৌড়েও।

আরো পড়ুন: বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৪১ রান, ভারতের ৪ উইকেট

২৩ বর্ষী এমবাপে ৪৭৭ মিনিট এবারের বিশ্বআসরে মাঠে থেকেছেন। মেসি মাঠে থেকেছেন ৫৭০ মিনিট। মেসি তিনটি অ্যাসিস্ট করেছেন। এমবাপে করেছেন দুইটি।

পাঁচ বিশ্বকাপে মেসি খেলেছেন মোট ২৫ ম্যাচ। ফাইনালে খেলতে নামলেই জার্মানির সাবেক ফুটবলার লোথার ম্যাথাউসকে টপকে বিশ্বকাপে সর্বাধিক ম্যাচ খেলার রেকর্ড নিজের করে নেবেন। এটিই হতে চলেছে এলএম টেনের ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ ম্যাচ।

সাতবার ব্যালন ডি’অর জেতা আর্জেন্টাইন মহাতারকার অর্জনের পাল্লাটা বেশ ভারীই। আট বছর আগে ব্রাজিল বিশ্বকাপে ফাইনালে উঠলেও জার্মানির কাছে হেরে ৩৫ বর্ষী মহাতারকার ট্রফির পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার দৃশ্যটা এখনও অনেকের কাছে হৃদয়ে রক্তক্ষরণের কারণ। এবার সেই আক্ষেপ ঘোচানোর সুযোগ।

বিপরীতে ফ্রেঞ্চ স্ট্রাইকার কাইলিয়ান এমবাপে মাত্র ১৯ বছর বয়সেই বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেয়েছেন। এবার টানা দ্বিতীয়বারের মতো তার সামনে সোনালী ট্রফিতে চুমু খাওয়ার সুযোগ।

মেসি এপর্যন্ত বিশ্বকাপে সর্বমোট গোল করেছেন ১১টি, অ্যাসিস্ট আটটি। এমবাপে ১৩ ম্যাচ খেলেই ৯ গোলের দেখা পেয়ে গেছেন, সঙ্গে রয়েছে তিনটি অ্যাসিস্ট।

মজার বিষয় হল মেসি ও এমবাপে একই ক্লাবে খেলেন। পিএসজিতে দুজনে মিলে দলের সাফল্যে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন। দুজনই একে অপরের শক্তিমত্তা ও দুর্বলতা সম্পর্কে ভালোই জানেন। দুজনের কাছে প্রতিপক্ষ চেনা সহজ হওয়ায় শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের চ্যালেঞ্জটাও উন্মুক্ত থাকছে। কে এগিয়ে যাবেন সেটা বলে দেবে লুসেইলের ফাইনালমঞ্চ।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।