মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার দুই চিকিৎসক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। একই সঙ্গে গ্রেফতার অপর তিন চিকিৎসককেও কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গ্রেফতার পাঁচ আসামিকে হাজির করে পুলিশ। তাদের মধ্যে আসামি ডা. লুইস সৌরভ ও ডা. শর্মিষ্ঠা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। এসময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার জুয়েল চাকমা তাদের জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদী আসামি লুইস সৌরভের এবং মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা চৌধুরী আসামি শর্মিষ্ঠার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এ নিয়ে মোট ১৭ জন আদালতে জবানবন্দি দিলেন।
অপরদিকে অপর তিন আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। এসময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। কারাগারে পাঠানো আসামি হলেন- ডা. ইউনুচ জামান খান তারিন, ডা. নাজিয়া মেহজাবিন তিশা ও ডা. মুসতাহীন হাসান লামিয়া।
উল্লেখ্য, দেশের মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষাগুলোতে নিয়মিত প্রশ্নফাঁসকারী সিন্ডিকেটের খোঁজ পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ। এ ঘটনায় ২০২০ সালের ২০ জুলাই মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়। এ মামলার তদন্তে নাম আসায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করে সিআইডি।