নিজস্ব প্রতিবেদক | ০১ মার্চ, ২০২০
মুজিববর্ষকে সামনে রেখে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাক্রমে রোবটিক্স আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও ইন্টারনেট অফ থিংসসহ আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের বিষয়গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। প্রথমে কতগুলো স্কুলকে পাইলট প্রকল্পের আওতায়ে এনে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির এসব বিষয়গুলোকে কারিকুলামে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব স্কুলের শিক্ষাক্রমে বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হবে। পাইলট প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত স্কুলগুলোতে একটি করে রোবোটিক ক্লাব চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
রোববার (১ মার্চ) রাজধানীর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সভাকক্ষে শিক্ষাক্রমে রোবটিক্স ইন্টারনেট অফ থিংস এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অন্তর্ভুক্তকরণ সংক্রান্ত এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
সভায়, মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাক্রমে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের বিষয়গুলোকে অন্তর্ভুক্তির কাজ দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এবং বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। দ্রুত কর্মসূচি বাস্তবায়ন কৌশল সম্পর্কে রিপোর্ট দেবে এ কমিটি।
সভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নানাবিধ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। মুজিববর্ষকে সামনে রেখে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাক্রমে রোবটিক্স আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও ইন্টার্নেট অফ থিংসসহ আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের বিষয়গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে উপযোগী করে গড়ে তুলতে তাদেরকে আধুনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে পারদর্শী করতে হব। এই লক্ষ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ে হতেই কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগ উপযোগী আধুনিক প্রযুক্তিগুলো যাতে শিক্ষার্থীরা আত্মস্থ করতে পারে সেজন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আহমেদ নুর, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ গোলাম ফারুক, জাতীয় শিক্ষাক্রম পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ন চন্দ্র সাহা ও সদস্যরা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ ও কারিগরি মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং কয়েকটি বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।