বর্তমানে দেশের কূপগুলো থেকে যে হারে গ্যাস উত্তোলন হচ্ছে, তা অব্যাহত থাকলে এখনকার মজুদ দিয়ে ২০৩১ সাল পর্যন্ত চালানো যাবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
জাতীয় সংসদের রোববারের অধিবেশনে রাজশাহীর সাংসদ মো. আয়েন উদ্দিনের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “চলতি বছর জুন পর্যন্ত সময়ে ৮১৫ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ঘন ফুট গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে। এই হার অপরিবর্তিত থাকলে মজুদকৃত গ্যাস আরও প্রায় ১৬ বছর, অর্থাৎ ২০৩১ সাল পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে।
বাংলাদেশে এ যাবৎ ২৬টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে, যার মধ্যে ২০টি বর্তমানে উৎপাদনে রয়েছে।
আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্রগুলোর প্রাথমিক গ্যাস মজুদ ছিল ২৭ দশমিক ১২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। এর মধ্যে গত জুন পর্যন্ত সময়ে ১২ দশমিক ৯৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস বিভিন্ন খাতে ব্যবহার করা হয়েছে।
সেই হিসাবে বর্তমানে মজুদ রয়েছে আনুমানিক ১৪ দশমিক ১৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট।
নসরুল হামিদ বলেন, “বর্তমানে চাহিদা অনুসারে গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। ভবিষ্যতে গ্যাসের চাহিদা আরও বৃদ্ধি পাবে। ফলে গ্যাসের মজুদ হ্রাস পেলে অপরিবর্তিত হারে গ্যাস উৎপাদন বজায় রাখা সম্ভব হবে না।”
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গ্যাসের চাপ কমে গেলে বিদ্যমান গ্যাসক্ষেত্রগুলোর উৎপাদন ক্ষমতাও কমে আসবে বলে জানান তিনি।
শিল্পায়নে গ্যাসের চাহিদা মেটাতে প্রয়োজনে আবাসিক এলাকায় রান্নার কাজে গ্যাস সরবরাহ পর্য়ায়ক্রমে বন্ধ করা হতে পারে বলেও এর আগে ইংগিত দিয়েছিলেন প্রতিমন্ত্রী।
‘জ্বালানি তেলে ভর্তুকি নেই’
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমায় জ্বালানি তেল বিক্রিতে সরকারকে এখন কোনো ভর্তুকি দিতে হচ্ছে না বলে সংসদকে এক প্রশ্নের জবাবে জানান জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী।
তেল আমদানিতে খরচ কমায় দীর্ঘ পাঁচ বছর পর গত ডিসেম্বর থেকে লাভের মুখও দেখছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন-বিপিসি। গত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে জ্বালানি তেল আমদানিতে যেখানে ৩৮ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছিল, এবার তা ১৭ থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকায় নেমে আসবে বলে আশা করছে সরকার।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের একমাত্র কয়লা খনি বড়পুকুরিয়া থেকে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৩৫৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা আয় হয়েছে।