বিবিসির ‘ইন্ডিয়া: দ্যা মোদি কোয়েশ্চন’ তথ্যচিত্রের কারণে ওই ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমকে নিষিদ্ধ করার ডাক দিয়েছে হিন্দু সেনা নামে ভারতের একটি সংগঠন। বিবিসির দাবি, যথেষ্ট গবেষণা করে তথ্যচিত্রটি তৈরি করা হয়েছে। তবে বিজেপি বলছে, এ তথ্যচিত্রটি একপেশেভাবে তৈরি করা হয়েছে।
ভারতের গুজরাটে মুসলিমবিরোধী ভয়াবহ দাঙ্গা এবং ওই রাজ্যের তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূমিকা নিয়ে তৈরি বিবিসির তথ্যচিত্র ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। এমন সময়ে ওই বিদেশি সংবাদমাধ্যমকে ‘নিষিদ্ধ’ করার দাবি জানিয়ে সরব হয়েছে হিন্দু সেনা। রোববার নয়াদিল্লির কস্তুরবা গান্ধী মার্গে বিবিসির দফতরের বাইরে এ নিয়ে পোস্টার সাঁটিয়েছেন হিন্দু সেনার কর্মীরা।
আরো পড়ুন: মোদির ডকুমেন্টারি দেখানো নিয়ে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় রণক্ষেত্র
‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চন’ তথ্যচিত্রটি ‘একপেশে’ বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। যদিও বিবিসি দাবি করেছে, যথেষ্ট গবেষণা করে তথ্যচিত্রটি তৈরি করা হয়েছে। মোদিকে নিয়ে ওই তথ্যচিত্রের লিঙ্ক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে তুলে নেওয়ার জন্য টুইটার ও ইউটিউবকে নির্দেশ দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। মোদি সরকারের এই পদক্ষেপকে ‘সেন্সরশিপ’ বা গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলে আখ্যা দিয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো।
এই বিখ্যাত তথ্যচিত্রের প্রদর্শনী ঘিরে উত্তপ্ত হয়েছে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ), জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়। ‘আপত্তি’ সত্ত্বেও কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, মুম্বাইয়ের ‘টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সেস’(টিআইএসএস), তিরুঅনন্তপুরমের একটি আইন কলেজ ও হায়দারাবাদ কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়েও এই তথ্যচিত্র দেখানো হয়েছে। এমন সময়ে বিবিসিকে ‘নিষিদ্ধ’ করার ডাক দিয়েছে হিন্দু সেনা।
এ বিষয়ে হিন্দু সেনার প্রধান বিষ্ণু গুপ্ত বলেছেন, ‘‘দেশে একতা এবং অখণ্ডতার জন্য বিবিসি বিপজ্জনক। অবিলম্বে বিবিসিকে নিষিদ্ধ করা হোক।’’
তিনি আরও বলেন যে অতীতে বিবিসিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন সাবেক ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। ১৯৭৫ সালে ভারতে জরুরি অবস্থার সময় নিষিদ্ধ করা হয়েছিল বিবিসিকে। পরে ওই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়।
সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে, হিন্দুস্তান টাইমস