নিজস্ব প্রতিবেদক : বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের আইন যথাযথভাবে অনুসরণ করার বিষয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে নিবন্ধন পরীক্ষা গ্রহণ ও প্রত্যয়ন বিধিমালা- ২০০৬ (সংশোধনী ২০১৫) এর ৯(২) নম্বর বিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
সোমবার বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান। সঙ্গে ছিলেন সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল সালমা রহমান ও ফরিদা ইয়াসমিন।
আইনজীবী ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, ‘পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও নিয়োগ বঞ্চিত নাটোর জেলার মো. জাহাঙ্গীর আলম, ঠাকুরগাঁও জেলার মো. সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলার পরিতোষ চন্দ্র হালদার, গাইবান্ধা জেলার রেজাউল করিম, খুলনা জেলার কোহিনূর আলমসহ বিভিন্ন জেলার ৬০ জনের করা এ রিট আবেদনে এ রুল জারি করা হয়।
রুলে রিট আবেদনকারীদের নিয়োগের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
শিক্ষা সচিব, এনটিআরসিএ (নন-গভর্নমেন্ট টিচার রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট অথরিটি)- এর চেয়ারম্যানসহ ৫ জনকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের জন্য সরকার ২০০৫ সালে এনটিআরসিএ গঠন করে। এরপর শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০০৬ সালে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা গ্রহণ ও প্রত্যয়ন বিধিমালা প্রনয়ন করে এবং সর্বশেষ ২০১৫ সালে সংশোধন করা হয়।
সারাদেশে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১২ হাজার ৬শ ১৯টি শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয় এনটিআরসিএ। সম্প্রতি এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়। সেখানে দেখা যায় আইন অনুসরণ না করেই ফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ফলাফলে নানা অসঙ্গতি দেখা যায়। এ নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ অবস্থায় বিষয়টি নিয়ে রিট আবেদন করা হয়।