১৫ বছর আগে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার রোয়াইড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে মাত্র একজন শিক্ষার্থী প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিল।
এরপর এ বিদ্যালয় থেকে আর কোনো শিক্ষার্থী বৃত্তি পায়নি। তবে এবার প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার স্থগিত হওয়া ফলাফলে বিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পেয়েছিল।
আরো পড়ুন: বৃত্তি পরীক্ষার সংশোধিত ফলাফল: এ মেয়েটির দায় কে নেবে?
দীর্ঘ বিরতির পর তিন শিক্ষার্থীর এমন ফলাফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও গ্রামবাসী খুশি হয়েছিলেন। তবে তাঁদের আনন্দ বেশিক্ষণ টেকেনি।
গতকাল বুধবার রাতে সংশোধিত ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, ওই বিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর কেউই বৃত্তি পায়নি।
ফলাফল নিয়ে এমন বিড়ম্বনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। বাদ পড়া তিন শিক্ষার্থীর অভিভাবকেরা বলেছেন, সন্তানদের কৃতিত্বে তাঁরা উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন। আরো পড়ুন: প্রাথমিকের বৃত্তির ফল যাচাইয়ের সুযোগ
কিন্তু এখন বিষয়টি নিয়ে তাঁরা ও তাঁদের সন্তানেরা লজ্জা পাচ্ছেন। এ ঘটনায় তাঁদের সন্তানদের কোমল মনে দাগ কেটে গেল।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, বৃত্তির তালিকা থেকে বাদ পড়া এক শিক্ষার্থী তাঁর বাবার সঙ্গে প্রধান শিক্ষক আজাদুর রহমানের কাছে এসেছে। ওই শিক্ষার্থীর বাবা প্রধান শিক্ষককে বললেন, ‘স্যার রাতে খবর পেয়ে আমাদের পরিবারের কারও চোখে ঘুম আসেনি। আমি ছেলেকে সান্ত্বনা দিতে পারছি না।’ তখন প্রধান শিক্ষক আজাদুর রহমান ও বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকেরা নির্বিকার ছিলেন। একপর্যায়ে ওই শিক্ষার্থীর বাবা কেঁদে ফেলেন।
চোখ মুছে ওই শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, ‘আমি নিজেকেই মানাতে পারছি না। আমার ছেলেকে কীভাবে সান্ত্বনা দেব। ফলাফলের খবর জানার পর আমরা কেউ রাতে ঘুমাতে পারিনি।’