বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও প্রকৌশল গুচ্ছের তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট, চুয়েট ও কুয়েট) প্রথম বর্ষ ভর্তিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা না থাকার বিধান চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে কোটা চালু করার আর্জি জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জনস্বার্থে রিটটি দায়ের করেছেন এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।
রিটে বলা হয়, ২০২৩-২০২৪ সালে এই চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভর্তিতে একটিও মুক্তিযোদ্ধা কোটা রাখেনি। কাজেই ভর্তি পরীক্ষা শেষে এবারই যেন ৫% মুক্তিযোদ্ধা কোটা দেয়া হয় সে বিষয়েও আবেদনে বলা হয়।
রিট পিটিশনটি দায়ের করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলাম। এর আগে ২০২১ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) প্রথম বর্ষ ভর্তিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা চালুর দাবি জানিয়ে লিখিত চিঠি দিয়েছিলেন তিনি।
পরবর্তীতে বুয়েট কর্তৃপক্ষ একাডেমিক কাউন্সিলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে। পরে অহিদুল ইসলামকে বুয়েটের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ফোরকান উদ্দিন একটি লিখিত চিঠির মাধ্যমে জানান, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মচারীদের পোষ্যদের জন্য ভর্তির কোটা থাকলেও বুয়েটে কখনও কোন কোটা ছিল না।
মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে কোন কোটা ছাড়াই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। কোটা সিস্টেম চালু হলে বুয়েটের শিক্ষা কার্যক্রমের স্ট্যান্ডার্ড ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ফলে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভর্তিতে মত নেই বুয়েটের।