বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অডিট আপত্তি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় কমানোর পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
মঙ্গলবার ইউজিসিতে ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন’ শীর্ষক এক কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা জানান কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম।
প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম বলেন, দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় অডিট আপত্তির সম্মুখীন হচ্ছে। আর্থিক শৃঙ্খলা যথাযথভাবে অনুসরণ না করার কারণে এমনটি হচ্ছে। আর্থিক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে অডিট আপত্তি কমিয়ে আনতে অটোমেশন পদ্ধতি চালু করার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
এছাড়া সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫-এর বিধিবিধান মেনে বেতন-ভাতা প্রদানের আহ্বান জানান তিনি।
কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ব্যক্তিকে উচ্চতর স্কেলে বেতন দেওয়া হচ্ছে। এতে আর্থিক বিধিবিধানের ব্যত্যয় ঘটছে বলে উল্লেখ করেন ইউজিসির এই সদস্য।
তিনি বলেন, কমিশন সব সময় অনুৎপাদনশীল খাতে বাজেট বরাদ্দ নিরুৎসাহিত করে আসছে। করোনার সময়ে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ছিল। কিন্তু এ সময়ে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে আপ্যায়ন ও ওভারটাইম ভাতা অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ঘটনা ঘটেছে যা অনভিপ্রেত।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের। সঞ্চালনায় ছিলেন ইউজিসির অর্থ ও হিসাব বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান।