চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসায় প্রশাসনের অধীন সি-২ (মানবিক শাখা) ও সি-৩ (বিজ্ঞান শাখা) ইউনিটের বিতর্কিত প্রশ্নে মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিকের প্রাপ্ত জিপিএসহ পূর্ণমান ১২০ এর মধ্যে ১১৮.৯৯ পেয়ে প্রথম হয়েছে এক শিক্ষার্থী। এছাড়া ফলে দেখা যায়, মেধা তালিকায় প্রথম সারিতে বাকি ১৪ জনের সবাই সর্বোচ্চ ১০০ এর উপরে নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। এ বছর অনুষ্ঠিত পরীক্ষাগুলোর মধ্যে এই ইউনিটেই সর্বোচ্চ সংখ্যক নম্বর উঠেছে।
অভিযোগ উঠেছে, সোমবার বিকেলে অনুষ্ঠিত সি-১ ও সি-২ ইউনিটের প্রশ্নপত্রে থাকা ১০০টি প্রশ্নের নির্দিষ্ট একটি অপশন কিছুটা ঝাপসা বা অস্পষ্ট ছিল। সেই অস্পষ্ট অপশনগুলোই ছিল সঠিক উত্তর। এমনই জানিয়েছে ইউনিটগুলোয় ভর্তি পরীক্ষা দেয়া শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার বিকেলে সি-২ ও সি-৩ ইউনিটের ফল প্রকাশের পর অভিযোগের বিষয়টি আরো বেশি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন, বড় একটি চক্র এ জালিয়াতি করেছে। এ ধরনের ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সি-২ ইউনিটে অংশ নেয়া এক শিক্ষার্থী জাগো নিউজকে বলেন, খুব খেয়াল না করলে এটি বোঝা সম্ভব নয়। প্রথমদিকে আমি বুঝতে না পারলেও ১০-১৫টি দাগানোর পর তা আঁচ করতে পেরে ঝাপসা অপশনগুলোই বেছে নিই।
এ অভিযোগের বিষয়ে সি ইউনিটের প্রধান দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রফেসর ড. সুলতান আহমেদ বলেন, কেউ এ ধরনের কোনো অভিযোগ জানাননি। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। তিনি ঢাকায় অবস্থান করায় ফলে কোনো অসঙ্গতি থাকলে, তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট অনুষদের ডিনের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।
এ বিষয়ে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর আলম জাগো নিউজকে বলেন, প্রথমদিকের ৩০ জনের সাক্ষাৎকার আমরা আলাদাভাবে নেব। তাদের সঙ্গে কোনো চক্র আছে কিনা- তা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হবে।
by