নিজস্ব প্রতিবেদক,২৬ জানুয়ারি, ২০২৩: বিতর্কিত পাঠ্যক্রম বাতিল ও পাঠ্যক্রম প্রণয়নে জড়িতদের তদন্তপূর্বক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ। আন্দোলনের কর্মসূচির হিসেবে বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) দেশব্যাপী থানা পর্যায়ে মানববন্ধন করেছে তারা। উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর স্মারকলিপি পেশ কর্মসূচিও পালন করা হয়।
আরো পড়ুন;শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলির ফল ফেব্রুয়ারিতে
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ এক বিবৃতিতে বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বকীয়তা ও নৈতিকতা ধ্বংসের গভীর ষড়যন্ত্র নিয়ে শিক্ষাক্রম’২৩ প্রণয়ন করা হয়েছে। মানববন্ধন কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিই প্রমাণ করে দেশীয় বোধ বিশ্বাস বিরোধী সেক্যুলার শিক্ষাক্রম দেশের সর্বস্তরের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও বুদ্ধিজীবীসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।
আরো পড়ুন:৬ষ্ঠ শ্রেণীর বইয়ে যৌনশিক্ষার সুড়সুড়ি
তিনি আরো বলেন, পাঠ্যপুস্তকে ইসলামের অন্যতম বিধান পর্দার বিরুদ্ধে নানা কাল্পনিক গল্প সাজিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। পাঠ্যবইয়ে বানর থেকে মানুষ হয়েছে এমন ছবি অংকন করে আমাদের পুর্বপুরুষদের বানর হিসেবে সাব্যস্ত করার চক্রান্ত হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির নীলনকশা নিয়ে এই পাঠ্যক্রম প্রণয়ন করা হয়েছে। বিতর্কিত এই পাঠ্যক্রম প্রণয়নে জড়িতদের তদন্তপূর্বক আইনের আওতায় আনতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের পাঠদান উপযোগী পাঠ্যক্রম তৈরি করতে যোগ্য ব্যক্তিদের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে হবে।
ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ২৯ জানুয়ারি’২৩ রবিবার সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে দেশব্যাপী মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের নিকট চিঠি প্রেরণ করবে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ। তারপরও বিতর্কিত পাঠ্যক্রম বাতিল না করলে সারাদেশের সচেতন ছাত্রজনতা কঠোর কর্মসূচী নিয়ে রাজপথে নেমে আসবে বলে হুশিয়ারি দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ।