নিজস্ব প্রতিবেদক, ২৯ মে, ২০২২
চলতি বছরের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের সময় শেষ হলেও বাদপড়া শিক্ষার্থীদের ফের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ দিয়েছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। মানবিক বিবেচনায় আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বাদপড়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ দেয়া হয়েছে। এসময়ে ইতোমধ্যে রেজিস্ট্রেশন করা শিক্ষার্থীদের তথ্য সংশোধন করার সুযোগ পাবে স্কুলগুলো।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা বোর্ড থেকে বিষয়টি জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
জানা গেছে, চলতি বছরের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন প্রথম দফায় ১ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ১৫ মে পর্যন্ত চলে। সে সময় ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হলো।
বিজ্ঞপ্তিতে বোর্ড জানিয়েছে, বাদপড়া শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে যেসব শিক্ষার্থী নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারেনি বা অন্য কোনো কারণে বাদ পড়েছে যেসব শিক্ষার্থীদের মানবিক দিক বিবেচনায় অনলাইনে তথ্য আপলোডসহ রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। ইতোপূর্বে রেজিস্ট্রেশনকৃত শিক্ষার্থীদের তথ্য সংশোধন, সংযোজন, বিয়োজনসহ তা অনলাইনে সংশোধন করা যাবে। নিবন্ধনের সময়সীমা ৩০ জুন পর্যন্ত চলবে।
২০২২ খ্রিষ্টাব্দের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনে নির্ধারিত ফি ৭৪ টাকা। এর মধ্যে মূল রেজিস্ট্রেশন ফি ৫০ টাকা ও রেডক্রিসেন্ট ফি ২৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বোর্ড আরও জানিয়েছে, এ সময়ের পর কোনো অবস্থানেই শিক্ষার্থীদের তথ্য সংশোধন ও বাদপড়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ দেয়া হবে না। শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন বা তথ্য সংশোধন না হলে দায় প্রতিষ্ঠান প্রধানকে বহন করতে হবে।
এর আগে গত ২৪ মার্চ জারি করা অষ্টম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন বিজ্ঞপ্তিতে বোর্ড জানিয়েছিলো, জেএসসি পরীক্ষার বছরের ১ জানুয়ারি পরীক্ষার্থীদের নূন্যতম বয়স ১১ বছরের বেশি হতে হবে। ঢাকা বোর্ড থেকে পাঠদানের অনুমতি ও স্বীকৃতি পাওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ পাবেন। বোর্ড থেকে অনুমতিবিহীন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী পার্শ্ববর্তী বা কাছের অনুমোদিত নিম্নমাধ্যমিক বা মাধ্যমিক স্কুল বা স্কুল এন্ড কলেজের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।
ঢাকা বোর্ডের ওয়েবসাইটে নির্ধারিত (OMES/eSIF) বাটনে ক্লিক করে ইআইআইএন ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের তথ্য দিতে হবে। Dashboard থেকে eSIF JSC ক্লিক করে Payable fees of JSC এ Applicant name, mobile no. এবং Number of Student দিয়ে Print Sonali Seba এ ক্লিক করে সোনালী সেবার স্লিপটি প্রিন্ট করতে হবে। ব্যাংকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে পেমেন্ট ক্লিয়ার করলে নির্ধারণকৃত শিক্ষার্থীদের eSIF পূরণ করা যাবে। পেমেন্ট ক্লিয়ারের পুনরায় সোনালী সেবার স্লিপ বের করতে পারবেন প্রতিষ্ঠান প্রধানরা। শিক্ষার্থীদের অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্নের পর তাদের তথ্যের পাশে নিজ নিজ স্বাক্ষর করা চূড়ান্ত তালিকা প্রিন্ট আউট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের।
বোর্ড জানিয়েছে, শিক্ষার্থীর বাবা মা এসএসসি সনদ থাকলে তাদের মূলসনদ অনুযায়ী বা প্রাথমিক সমাপনি পরীক্ষা পাসের সনদ অনুযায়ী বাবা মায়ের নাম এন্ট্রি করতে হবে। শিক্ষার্থীর বাবা মা এসএসসির সনদধারী না হলে হলে জন্মনিবন্ধন সনদ বা জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী বাবা মায়ের নাম এন্ট্রি করতে হবে। শিক্ষার্থীরা নামের আগে মিস্টার, মিসেস, শ্রী, শ্রীমতি ইত্যাদি থাকলে তা ব্যবহার করা যাবে না। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি হালনাগাদ থাকতে হবে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সব তথ্য নিশ্চিত হয়ে ডাটা এন্ট্রি করতে হবে। নির্ধারিত তারিখের মধ্যে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন করতে না পারলে এর দায় প্রতিষ্ঠান প্রধানকে নিতে হবে।