ডেস্ক,১০ নভেম্বর ২০২১ঃ
রাষ্ট্রায়ত্ত ৫ ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) পদের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের সত্যতা মেলায় প্রিলিমিনারি পরীক্ষা বাতিল হতে পারে। আগামী ১৪ নভেম্বর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।
ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির (বিএসসি) সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। আগামী ১৪ নভেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। ওইদিনই পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে।
সূত্র আরও জানায়, ব্যাংক নিয়োগের প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় সরকারের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকেও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ব্যাংকের তদন্তে বিষয়টি প্রমাণিত হলে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা বাতিল করা হবে।
আরও পড়ুন: ব্যাংকের চাকরির পরীক্ষার প্রশ্ন জালিয়াতি চক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক আজিজুল হক দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, প্রশ্নফাঁসের ঘটনা কেন্দ্রীয়ভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে বিষয়টি প্রমাণিত হলে পাঁচ ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) নিয়োগের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা বাতিল করা হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আমরা শুনেছি এই ঘটনার সাথে আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকজনও জড়িত। সেজন্য তাদের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। সন্তোষজনক কোনো ব্যাখ্যা না পেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে। এ বিষয়ে ১৪ তারিখ বিস্তারিত জানাতে পারবো।
এর আগে গত ৬ নভেম্বর রাজধানীর ৪৭টি কেন্দ্রে বেলা ৩টা থেকে বেলা ৪টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপী এমসিকিউ পদ্ধতির প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ১ হাজার ৫১১ পদের বিপরীতে ১ লাখ ১৬ হাজার ৪২৭ জন প্রার্থী ছিলেন।
পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগ তোলেন প্রার্থীরা। এ নিয়ে ফেসবুকের চাকরিকেন্দ্রীক গ্রুপগুলোতে শুরু হয় সমালোচনা। পরীক্ষার আগেই হাতে লেখা ও কম্পিউটারে টাইপ করা উত্তরপত্র ফাঁস হয়েছে বলে দাবি অংশ নেওয়া প্রার্থীদের। তারা জানান, এর আগেও পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্বে থাকা আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ ছিল। তাই এই নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্ব আর না দেওয়ার দাবি তাদের।